ঘরবন্দিতে দুই সন্তানকে সমালাতেই হিমসিম খাচ্ছেন সমীরা রেড্ডি। পাঁছ বছরের ছেলে হংস আর ৯ মাসের মেয়ে নাইরাকে নিয়েই গোটা দিন ব্যস্ত এই বলি নায়িকা। এর মাঝেই সময়বার করে ফিভার নেটওয়ার্ক ও হিন্দুস্তান টাইমসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত 100 Hours 100 Stars অনুষ্ঠানে শামিল হলেন সমীরা। কোয়ারেন্টাইন জীবনটা অনেকের কাছে কঠিন মনে হলেও নায়িকার কথায় তিনি এই বিষয়টির সঙ্গে অভ্যস্ত তাই তাঁর পক্ষে এটা নতুন চ্যালেঞ্জ নয়। প্রথমবার মা হওয়ার পর দেড় বছর, অবসাদগ্রস্ত সমীরা ঘরবন্দি অবস্থায় কাটিয়েছেন।
লকডাউনের এই সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমীরার একের পর পোস্ট চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। এই পরিস্থিতি সম্পর্কে সমীরা বলেন, আমার জন্য,সবচেয়ে অন্ধকারময় সময় ছিল প্রথমবার সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরের দিনগুলো-সেটাকে আপনি প্রসব পরবর্তী সমস্যা বলুন কিংবা অবসাদ। সেই সমটা ভয়ঙ্কর দিন গেছে আমার,আমি বাড়িতে নিজেকে বন্দি রেখেছিলাম দেড় বছরের জন্য’।
নো-এন্ট্রি তারকা বলেন,’কোয়ারেন্টাইন পরিস্থিতিকে আপনি দুভাবে দেখতে পারেন। আপনি বলতে পারেন, হে ভগবান এটা আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ অধ্যায়। আবার এমনটাও ভাবতে পারেন..দারুণ আমি কতকিছু করতে পারি এই সময়টা নিজের জন্য’। অভিনেত্রী যোগ করেন বিয়ের ছ’বছরে স্বামীর সঙ্গে এত লম্বা সময় কাটানোর সুযোগ তাঁর লকডাউনে পূরবর্তী সময়ে হয়নি।
অভিনয় জীবনে অন্যের মন জুগিয়ে চলতে হয়েছে,সবসময় নিজের শারীরিক গঠন,লুকস নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে হয়েছে। কিন্তু এখন এক্কেবারে সেই সবকিছুকে পাত্তা দেন না সমীরা রেড্ডি।
‘আসলে এই অন্ধকারটা আমাদের মনে রয়েছে। আমরা যেভাবে কোনও জিনিসকে দেখব আর কি।এখন আমি নিজের সঙ্গে অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ। এখন আমি পরোয়া করি না আমার লুক নিয়ে আর পাঁচজন কী ভাবছে! আমি আমার পাকা চুল দেখা গেলে লজ্জা পাই না, নিজের ফিগার সম্পর্কে অন্যের কথার পরোয়া করিনা’, অকপট স্বীকারোক্তি সমীরার।
২০১৩ সালে শেষবার রূপোলি পর্দায় দেখা গেছে সমীরাকে,কন্নড় ছবি বরাধনায়াকাকে। ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে অক্ষয় বারধের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন সমীরা।এবং নিজের ফিল্মি কেরিয়ারে ইতি টানেন।