টেলিভিশন দুনিয়ার জনপ্রিয় অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তী। প্রায় ৭ বছর ধরে অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত। একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বিগত কয়েক বছরের কেরিয়ারে ভক্তিরসাত্মক তথা ঐতিহাসিক গল্প নির্ভর ধারাবাহিকে তাঁকে সুযোগ দিয়েছেন নির্মাতারা। সেইসব চরিত্রে নিজেকে দক্ষতার সঙ্গে মেলে ধরেছেন সায়ক। ‘বয়েই গেল’ ধারাবাহিকের সঙ্গে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন সায়ক, তবে দর্শকের মনের সিংহাসনে তিনি পাকা জায়গা করে নেন ‘মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য’ ধারাবাহিকের সুবাদে। এরপর ‘করুণাময়ী রাণীরাসমণি’, ‘আমি সিরাজের বেগম’,'কাদম্বিনী' সহ একাধিক মেগায় নিজের অভিনয় দক্ষতার ছাপ রেখেছেন সায়ক।
কিন্তু পিরিয়ড ধারাবাহিক কিংবা ভক্তিমূলক সিরিয়ালে অভিনয় থেকে এবার ব্রেক নিতে চান সায়ক।এবার একটু অন্য চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরতে চান অভিনেতা। তাই মেকওভার করে নিজের লুক বদল করে ফেললেন তিনি। এবিষয় হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে সায়ক জানান, ‘আসলে এতদিন পর্যন্ত আমি যেকটা ধারাবাহিকে কাজ করেছি বেশিরভাগই মাইথোলজিক্যাল। আমি সেই চরিত্রগুলোতে অভিনয় করতে ভালবাসি। কিন্তু আমি নিজেকে আরও এক্সপ্লোর করতে চাই। বিভিন্ন ধরণের ওয়েব সিরিজে এই ধরণের লুকের প্রয়োজন হয়’।
তিনি আরো বলেন, ‘আমার যেমন লুক দেখে মানুষ অভ্যস্ত, তাতে হয়তো তাঁরা নাও প্রত্যাশা করতে পারে আমাকে দেখে এমন লাগতে পারে। তাই এই লুক চেঞ্জ করলাম। যাতে আমাকে অন্য চরিত্রের হিসেবেও ভাবা যায়। কেন আমাকে শুধু একই ধরনের চরিত্রে ভাবা হয়, জানি না। পিবি স্টুডিওর প্রতীক ভট্টাচার্যই লুক বদলানোর আইডিয়া দেন। কস্টিউম ডিজাইনার সৌরভ, অর্ণব দাসের মেকআপে নিজেকে নতুন ভাবে তুলে ধরেছি'।
সায়কের জানিয়েছেন, ‘নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছে বেশি। ধারাবাহিকে বেশি কাজ করার ইচ্ছে। তবে ধারাবাহিক ছাড়া অন্যকিছুতে সুযোগ থাকলে অবশ্যই তখন ভেবে দেখব'। এই মুহূর্তে ‘অগ্নিশিখা’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন সায়ক। সেখানে মন্মথের চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। এবার কি টাইপকাস্ট ছেড়ে সায়ককে অন্য চরিত্রে দেখতে পাবে দর্শক? তাঁর সেই স্বপ্ন কি সফল হবে?