জীবনের নানা অধ্যায়ের গল্প সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেন অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। ৪৫ বছর আগে ‘চুপকে চুপকে’ ছবির শ্যুটিং করেছিলেন তিনি। এখন সেই ছবি পর্দায় দেখে নতুনভাবে আনন্দে ভেসে যান বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।
হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ১৯৭৫ সালে মুক্তি পায় ‘চুপকে চুপকে’। ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ধর্মেন্দ্র, অমিতাভ বচ্চন, আশরানি, জয়া বচ্চন, ওম প্রকাশ এবং শর্মিলা ঠাকুর।
‘লেডিজ স্টাডি গ্রুপ’ কলকাতা-কে দেওয়া সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শর্মিলা জানিয়েছেন, তিনি নিজের ল্যাপটপে বসে কিছুদিন আগে ‘চুপকে চুপকে’ দেখছিলেন। দীর্ঘদিন পর এই ছবি দেখেন তিনি। শর্মিলার কথায়, ‘কিছুদিন আগে আমার একটা অস্ত্রোপচার হয়েছিল এবং আমি হাসপাতালে ছিলাম। আমি ল্যাপটপে বসে ‘চুপকে চুপকে’ দেখছিলাম এবং একা একাই হেসে ফেলেছিলাম। বিগত কয়েক বছর ধরে আমি ছবিটা দেখিনি। তাই আমি যখন দেখলাম, আমার ধরমকে (ধর্মেন্দ্র) দারুণ লাগলো’।
তিনি আরও বলেন, ‘হৃষিকেশের সাঙ্গে কাজ করা খুব দুর্দান্ত ছিল কারণ ও দাবা খেলত এবং আমাদের সব নোংরা জোকস বলত। এটি একটা দীর্ঘ পিকনিক বলতে পারো। এবং প্রত্যেকে প্রত্যেকের সঙ্গে মিলেমিশে গিয়েছিল। প্রত্যেকে তাঁকে শ্রদ্ধা করতেন। তিনি যা বলেছিলেন আমরা তাই করতাম’।
সবাই কীভাবে সময়মতো রিপোর্ট করতেন সেই কথাও বলেছেন তিনি। এমনকি অমিতাভ বচ্চনকে ‘অনিদ্রা’ ব্যক্তিত্ব বলে অভিহিত করেছিলেন। ‘আমরা সবাই সময় মতো পৌঁছাতাম, ধর্মাও যথাসময়ে আসতো। আর অমিতাভ (বচ্চন) অবশ্যই সবসময় সময় মতো আসতেন। আসলে, তিনি সময়ের আগে পৌঁছে যেতেন - সময় যদি ৭টা থাকত, তিনি ৬টায় চলে আসতেন। সম্ভবত, তিনি একজন অঘুমন্ত ব্যক্তি ছিলেন’।
একই সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী তাঁর জীবনের নানা অজানা কথা তুলে ধরেছেন। কীভাবে প্রথমবার তাঁর মনসুর আলি খানের সঙ্গে পরিচয় হয়। মনসুর যখন ক্যাচ ফেলে দিয়েছিলেন, তখন তার বাবা কীভাবে তাঁকে একবার চিৎকার করে বকেছিল।
১৯৫৯ সালে ‘অপুর সংসার’ দিয়ে বাংলা ছবিতে ডেবিউ করেন শর্মিলা ঠাকুর। এরপর কাশ্মীর কি কলি (১৯৬৪) ছবির মাধ্যমে বলিউডে ডেবিউ করেন তিনি। এরপরেই তিনি বড় তারকা হয়ে ওঠেন। বলিউডে ৪ বছর তারকা জীবন কাটানোর পর তিনি বিয়ে করেন নেন। প্রচুর হিট ছবি আরাধনা (১৯৬৯), সাফার (১৯৭০), দাগ (১৯৭৩), ছুপকে ছুপকে (১৯৭৫)-এর পরই তিনি মনসুর আলি পতৌদির সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন।