শনিবার আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন তরুণ কুমারের জামাই পান্নালাল বন্দ্যোপাধ্যায়। বাবাকে হারালেন অভিনেতা সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়। মাসখানেক আগেই ধুমধাম করে ছেলের বিয়ে দিয়েছিলেন, কোনওরকম শারীরিক সমস্যাও ছিল না তাঁর। বৌমা ত্বরিতা এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন শ্বশুরমশাই। গত সোমবারই করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছিলেন পান্না বন্দ্যোপাধ্যায়, কিছুটা আক্ষেপ আর আশঙ্ক্ষার সুরে ত্বরিতা আনন্দবাজারকে জানান, ‘জানি না টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্যই হল কিনা এমনটা।'
সৌরভের কন্ঠেও অভিযোগের সুর। তিনি সরাসরি ওই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, টিকা নিয়ে তাঁর কোনও সন্দেহ বা শঙ্কা নেই। তবে চিকিৎসকদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন এই তরুণ অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকরাই জানেন না, টিকাটা কখন ও কীভাবে নেওয়া প্রয়োজন। এক এক বার তাঁঁরা এক এক রকম কথা বলছেন। এটা কি মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা হচ্ছে?’
বাবার আকস্মিক চলে যাওয়ার ধাক্কা একেবারেই সামলে উঠতে পারেননি সৌরভ। ৬৬ বছর বয়সী পান্নালালের কোনওরকম শারীরিক জটিলতা ছিল না। তবে শনিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় তাঁর। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবাকে নিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাসও দিয়েছেন সৌরভ। তিনি লেখেন- ‘বাবি সংসারটা তুলে দিয়ে গেলে? ৫ মিনিটও সময় দিলে না তুমি, যে তোমার ট্রিটমেন্ট করতাম। এখন কাকে বলব আজ এই শ্যুটিং-এ যাচ্ছি ডেটটা লিখে রেখো, বাবি এই গানটা শুনেছো? শুনে দেখো। ….ফ্রেন্ড, ফিলোজাফার, গাইড,সবটা ছিলে তুমি। এটা ছিল আমার কপালে? একটা কথা বলেই নিজেকে সান্ত্বনা দিচ্ছি, যে কটা দিন ছিলে রাজার হালে ছিলে, আর গেলেও একইভাবে.. ক্যায়া বাত। যেখানেই থেকো ভালো থেকো বাবি’।
জানুয়ারি মাসেই বউ হয়ে এসেছিলেন, শ্বশুরমশাই একদম মেয়ের মতো আগলে রেখেছিলেন ত্বরিতাকে। তাঁকে স্মরণ করে অভিনেত্রী লেখেন- ‘তোমাকে কী যে বলি… তুমি আমার জন্য কি করতে তা ভাষায় প্রকাশ করে বলতে পারব না গো। কত বকুনি শুনতে আমার থেকে, শেষদিনও কত বকুনি দিলাম যে শরীরটা যাতে ভালো রাখো তার জন্য, কিন্তু এভাবে চলে গেলে? তুমি শ্বশুরমশাইয়ের চেয়ে অনেক বেশি বন্ধু ছিলে। এতটুকুই বলবো অনেক বড় বাস্তব এর সম্মুখীন করলে তুমি। যেখানেই থেকো ভালো থেকে, এইভাবেই হাসিখুশি রেখো’।