ছোট্ট থেকেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরাট ভক্ত অভিনেতা সৌরভ দাস। ক্রিকেটের নিয়ম কানুন তো দূর অস্ত, দারুণভাবে ক্রিকেট খেলা বোঝার আগে থেকেই টিভির পর্দায় স্রেফ 'দাদা'-কে দেখে তাঁর বেজায় ভক্ত হয়ে গেছিলেন বর্তমানের এই টলি-অভিনেতা। তবে এই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্যেই যে আর একটু হলে স্কুল থেকেই বহিস্কৃত হয়ে যাচ্ছিলেন 'মন্টু পাইলট',সেকথা অনেকেই জানেন না! এরপর অভিনেতার বাবা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ ও তদ্বির করে সে যাত্রায় বেঁচে গেছিল সৌরভ। একবার 'দাদাগিরি'-র একটি পর্বে হাজির হয়ে 'দাদা'-র সামনে হাজির হয়ে একথা জানিয়েছিলেন খোদ সৌরভ।
সাউথ পয়েন্ট স্কুলে পড়াশোনা করেছেন সৌরভ দাস। যে সময়ের কথা,তখনও খুব একটা উঁচু ক্লাসে পড়েন না তিনি। আর পাঁচদিনের মতোই স্কুল বসে করে স্কুল যাচ্ছিলেন। সেইসময় কানে আসে তাঁর 'প্রিয় ক্রিকেটার'-এর করা এক বিজ্ঞাপনকে উপলক্ষ করে বাসের পিছনের সিটে বসা একদল ছাত্র বেদম হাসিঠাট্টা করছে। একনাগাড়ে বেশ কিছুক্ষণ তা চলতে থাকে। বলে রাখা ভালো,স্কুলে তারা 'শচীন-ভক্ত' বলে পরিচিত। এরপরেই নিজেকে আর সামলাতে পারেননি সৌরভ। 'দাদা'-র ব্যাপারে মস্করা, হালকা চালের কথাবার্তা বলতে থাকা ওই দলেরই একটি ছেলেকে বেমক্কা ঘুসি মেরে বসেন তিনি। ব্যাস! শুরু হয়ে যায় হৈ হট্টগোল। সৌরভের এই মারমুখি মূর্তি দেখে তাঁকে আটকাতে আসেন বাসের মধ্যেই বসে থাকা স্কুলেরই এক শিক্ষক। রাগের চোটে তাঁকেও জোর ধাক্কা মেরে হটিয়ে দেন অভিনেতা!

এরপর গোটা ঘটনাটি স্কুল কর্তৃপক্ষের কানে যেতে মোটেই দেরি হয়নি। সৌরভের বাবাকে স্কুলে ডেকে পাহান হয়। তাঁকে ছেলের কীর্তির কথা জানিয়ে বহিষ্কারের কোথাও তোলা হয়। তবে সৌরভের বাবার অনুরোধে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এত গন্ডগোল হওয়ার দরুণ বাবার তরফ থেকে 'দাদা'-কে ভুলে যাওয়ার নির্দেশ পেয়েছিলেন সৌরভ। তবে তাতে মোটেই তিনি কান দেননি। বরং 'প্রিয় ক্রিকেটার'-এর প্রতি তাঁর ভালোবাসা আরও বেড়েছিল।