ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বিধস্ত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দেবেন তাঁর ও নীল ভট্টাচার্যের তৈরি এনজিও, শনিবার সে খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন তৃণা। সঙ্গে অভিনেত্রীর শেয়ার করা পোস্টে লেখা ছিল শাসক দলের সঙ্গে হাত মিলিয়েই তাঁরা এই কাজ করবেন। তারপর থেকেই সামনে আসতে থাকে বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণার অংশ নেওয়ার খবর। জানা যায়, খড়দহ কেন্দ্র থেকে শাসকদলের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন অভিনেত্রী তৃণা সাহা। শাসকদলের ঘনিষ্ট হিসেবে এমনিতেই পরিচিত তিনি। তাই তৃণার ভোটে দাঁড়ানোর খবর খুব একটা চমক দেয়নি রাজ্যবাসীকে।
যদিও সংবাদমাধ্যমের তরফে ‘খড়কুটো’ অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যাপারটাকে সম্পূর্ণ গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। জানিয়েছেন, তাঁর কাছে এখনও এই মর্মে কোনও খবর এসে পৌঁছয়নি। সঙ্গে জানিয়েছেন, প্রেম-বিয়ে, রাজনীতি সবটাই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েই করেছেন তাঁরা। তাই ভোটে দাঁড়ালেও সেকথা গোপন রাখবেন না।
প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যোগদানের আগেই থেকেই শাসকদলের সমর্থক নীল-তৃণা। তাঁদের বিয়েতে অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে ছবি সামনে আসার পর বেশ অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। তারপর যদিও তাঁদের একসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের বহু সমাবেশে দেখা গিয়েছে এই জুটিকে। এমনকী, কারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের ভোট প্রচারেও সঙ্গী হয়েছিলেন।
তৃণা সাহার স্বামী নীল ভট্টাচার্যও এখনই তৃণার ভোটে দাঁড়ানোর খবর গুজব বলেই উড়িয়ে দিয়েছেন। জানিয়েছেন, ‘সবে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যোগ দিয়েছি। এখনও অনেকটা পথ চলা বাকি। তাই সেসব নিয়ে এখনই ভাবছি না।’ অবশ্য ২০২১ বিধানসভা ভোটের ইতিহাস অনুযায়ী অনেক তারকাই তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য হওয়ার পরপরই ভোটের টিকিট পেয়েছে। তাই বাংলা ধারাবাহিকের জনপ্রিয় মুখ তৃণা সাহার ক্ষেত্রেও এমনটা হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।