বর্ষীয়ান অভিনেতা বিক্রম গোখেলে ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন, এমনটাই হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থায় ছিলেন এই ৭৭ বছর বয়সী অভিনেতা। ভেটিলেশনে রাখা হয়েছিল তাঁকে। তবে এখন ধীর গতিতে হলেও স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে বলেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে।
দীননাথ মঙ্গেশকর হাসপাতালের পিআরও শিরীষ ইয়াদকিকর জানিয়েছেন, ভীষণ ধীরে কিন্তু উন্নতি দেখা গিয়েছে বিক্রম গোখেলের স্বাস্থ্যে। হাসপাতালের তরফে যে স্টেটমেন্ট প্রকাশ্যে আনা হয়েছে তাতে জানানো হয়েছে, উনি চোখ খুলছেন, হাত পা নাড়াতে পারছেন। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হয়তো তাঁকে ভেন্টিলেশনে সাপোর্ট থেকে বের করে আনা হবে। এছাড়া আরও জানানো হয়েছে যে তাঁর হার্টরেট এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক আছে।
গত পনের দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। তবে বুধবার বিকেলে এএনআই জানায় যে অভিনেতার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। এরপরই ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর ভুয়ো খবরের মতোই সেদিন রাতে রটে যায় যে তিনিও প্রয়াত হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়া ভেসে যায় ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবিতে ঐশ্বর্য রাইয়ের বাবার চরিত্রে অভিনয় করা এই অভিনেতার মৃত্যুসংবাদে।
তবে তাঁর স্ত্রী ‘সত্য ঘটনা’ প্রকাশ্যে আনেন। তিনি জানান এটা পুরোটাই রটনা। তিনি একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান বুধবার দুপুরে কোমায় চলে গিয়েছেন তিনি। আপাতত ভেন্টিলেটর সাপোর্ট আছেন। বিক্রমের স্ত্রী আরও জানান তাঁর স্বামীর মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর হয়েছে।
কাল পর্যন্ত শোনা গিয়েছিল যে অভিনেতার অবস্থা সংকটজনক। লাইফ সাপোর্টে আছেন। কিন্তু এরপর আজ যখন হাসপাতালের তরফে এই সুখবর জানানো হয় তখন অনেকেই স্বস্তির শ্বাস ফেলেছেন। অভিনেতার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন সকলেই।
বিক্রম গোখেলেকে হাম দিল দে চুকে সনম ছবি ছাড়াও, ‘খুদা গওয়া’, ‘অগ্নিপথ’- এর মতো ছবিতে কাজ করতে দেখা গিয়েছে। তিনি ২০১০ সালে মারাঠি ছবি ‘অনুমতি’- এর জন্য জাতীয় পুরস্কার পান।