আরজি কর কাণ্ড নিয়ে প্রবল চাপে মমতা সরকার। নির্যাতিতার মৃত্যুর পর কেটেছে এক মাস, মুখ্যমন্ত্রী উৎসবে ফেরার ডাক দিতেই পালটা ক্ষোভ জনগণের মনে। সুপ্রিম সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মঙ্গলবার স্বাস্থ্যভবনের সাফাই অভিযানে নেমেছিল জুনিয়র ডাক্তাররা, এখনও স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ চলছে তাঁদের।
এর মাঝেই খবর, এবার আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামতে চলেছেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। না, বিজেপির হয়ে আন্দোলনে নামছেন না তিনি। বরং একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে পথে জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেতা।
দিন কয়েক আগে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে মুখ খুলে মিঠুন চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, ‘এই বাংলাটাকেই আমি দেখতে চেয়েছিলাম। এখন দেখতে পাচ্ছি। খুব আনন্দ হচ্ছে।’ মহাগুরু আরও বলেন, ‘রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সবাই যেন এই আন্দোলনে একসঙ্গে থাকি। আর আমি এটা বলছি মানেই যে বিজেপি বলছে, সেটা নয়। আমি ব্যক্তি মিঠুন চক্রবর্তী হিসেবেই কথাগুলো বলছি।’ আর সেই ব্যক্তি মিঠুন এবার মৌখিক প্রতিবাদে আটকে থাকছেন না, বরং পথে নেমে প্রতিবাদ জানাবেন।
জানা যাচ্ছে, আগামিকাল, বুধবার শহরের বিদ্বজনদের সঙ্গে পা মেলাবেন মিঠুন। ১১ সেপ্টেম্বর ঐতিহাসিক দিনে। এইদিনে স্বামী বিবেকানন্দ সারা পৃথিবীর বিবেকের জাগরণ ঘটান, শিকাগো শহরে তাঁর বক্তৃতার মাধ্যমে। ১৩১ বছর পর স্বামীজির নিজের শহরে মানুষের বিবেক দংশিত। ক্ষত-বিক্ষত মানুষের মন। সবার মনে একটাই প্রার্থনা- বিচার পাক মেয়েটা। সেই বিচারের দাবিতে, দোষীদের শাস্তির দাবিতে শিল্পী, সাহিত্যিক, অধ্যাপক, বিজ্ঞানী-সহ সমাজের প্রবুদ্ধ মানুষেরা পথে নামছেন। বিবেকানন্দ রোডে স্বামীজির পৈতৃক বাসস্থান থেকে শ্যামবাজার পাঁচ মাার মোড়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্রের মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত চলবে এই মিছিল। সেই মিছিলেই নাকি উপস্থিত হবেন মিঠুন চক্রবর্তী।
প্রসঙ্গত গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ। প্রথমে আত্মহত্যা বলে দাগিয়ে দেওয়া হলেও পরে শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে জানা যায় তাঁকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে। ঘটনার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার হন অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। এই নৃশংস মৃত্যু নিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে এই মামলার তদন্ত করেছে সিবিআই।