পাঁচ ঘন্টা ধরে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে আটকে থাকলেন অভিনেতা-কমেডিয়ান বীর দাস। এত সময় ধরে বিমানবন্দি প্যাসেঞ্জাররা হইচই কাণ্ড বাঁধিয়ে দেয় প্লেনের অন্দরে। বিমান সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে বারেবারে বচসা চলে যাত্রীদের। বিমানের ভিতর বসে বসে এই সব ঘটনার ‘রানিং কমেন্ট্রি’ টুইটারে দিলেন বীর দাস। স্বভাবতই নিজের হাস্যরসবোধ মিশিয়ে মজাদারভাবে সেই ঘটনাবলি পেশ করেন তিনি।
টুইটারে প্রথম পোস্টে বীর লেখেন, দিল্লিতে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে বসে রয়েছেন তিনি, গত চার ঘন্টা ধরে। লেহ-র খারাপ আবহওয়ার জেরে আপতত বিমান এখন টেক অফ করতে পারছে না। তবে পরিস্থিতি বিগড়ে যায়, যখন বিমানের অন্দরে বসে থাকা যাত্রীরা জানতে পারেন অন্য বিমান ওঠা-নামা করছে।
বীর লেখেন, ‘এবার যাত্রীরা বিদ্রোহ শুরু করে দিয়েছে। কারণ অন্য বিমান এসে পৌঁছে গিয়েছি। সকলে লেহ-তে থাকা পরিচিতদের ফোন করে জানতে পেরেছে আবহাওয়া একদম পরিষ্কার। ক্যাপ্টেন ককপিটের বাইরে আসছেন না। ক্যাবিন ক্রু ভিতরে চলে গেছে। আমরা ৫০জন প্লেনের সামনে দাঁড়িয়ে আছি, ঠিক যেমন ক্ষুধার্তরা হলদিরামের গেট খোলবার অপেক্ষা করে’।
এরপর বীর জানান, রেগে কাঁই হয়ে থাকা যাত্রীদের কেবিন ক্রু বোঝানোর চেষ্টা করছে অন্য বিমান সংস্থার চেয়ে এয়ার ইন্ডিয়া অনেক বেশি সুরক্ষিত। সেই কারণে তাঁদের বিমান চলাচলের নির্দিষ্ট গাইডলাইন আছে, যা লঙ্ঘন করা যাবে না। কোনও কোনও যাত্রী তো কর্পোরেট পলিসি টেনে তর্ক জুড়ে দিয়েছে। যাত্রীদের বিদ্রোহ শুনে, ককপিটের ভিতর থেকেই বিমানচালক হুমকির সুরে বলেন, ‘আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীরকাছে অভিযোগ জানাব’।
এত গণ্ডোগোলের মধ্যেই বীর ফের জানান, অবশেষে ওই বিমানের পাইলট এবং বাকি ক্রু-কে বদলে দেওয়া হয়েছে। এক তরুণ পাইটল এবার ককপিটের দায়িত্বে। সকলে আশাবাদী যে এবার দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাবে তাঁরা। অবশেষে প্লেন টেক-অফ শুরু করলে সেই আপটেডটিও দেন বীর। লেখেন, ‘আমার চোখে এবার আনন্দের জল! প্লেনটা নড়ছে! হয়ত কেঁদেই দেব এবার’।
বীরের এই অভিজ্ঞতা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেছেন সকলে। শেষবার পর্দায় বীর দাসকে দেখা গিয়েছে হলিউড ছবি ‘দ্য বাবল’এ। গত ২৫শে মার্চ নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি।