সুস্মিতা সেনের ভাই আর ভাইয়ের বউয়ের বিয়ে ভাঙার খবর নিয়ে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী চারু অসোপা। ২০১৯ সালে বিয়ে করেন এই দুই তারকা। তবে তার কদিন পর থেকেই ঝামেলা শুরু। এখন শোনা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই ডিভোর্সের জন্য আবেদনও করে ফেলেছেন।
চারু সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, অনেক সুযোগ তিনি দিয়ে দিয়েছেন স্বামী রাজীব সেনকে। এখন চান যাতে ভালোভাবে ডিভোর্সটা হয়ে যান। যদিও রাজীবের দাবি, প্রথম বিয়ের কথা তাঁর কাছ থেকে লুকিয়ে গিয়েছিলেন চারু।
রাজীব ও চারুর একটি কন্যা সন্তানও রয়েছেন, নাম জিয়ানা। মেয়েকে নিয়েও অভিযোগের কমতি নেই। চারুর দাবি, রাজীবই ঠিক করেছিল মেয়ের মুখ দেখাবে না সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তারপরে নিজেই মেয়ের ছবি শেয়ার করে দেন। আর সুস্মিতার ভআইয়ের দাবি, মেয়ের সঙ্গে তাঁকে দেখাই করতে দেয় না স্ত্রী।
চারু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘সবাই জানে গত ৩ বছর ধরে আমাদের বিয়ে নিয়ে সমস্যা হচ্ছে, সেই যখন আমাদের বিয়ে হয়েছে। তাও আমি ওকে বারবার সুযোগ দিয়েছি। প্রথমে এটা আমার জন্য ছিল, পরে আমাদের মেয়ের জন্য। কিন্তু একটা একটা করে সময় দিতে দিতে কখন যে ৩ বছর পেরিয়ে গিয়েছে, বুঝতেই পারিনি। ওর আমাকে বিশ্বাস করতে সমস্যা হচ্ছে, আর এটা মেনে নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। ওকে আমি লিগ্যাল নোটিস দিয়েছি বন্ধুত্বপূর্ণ বিচ্ছেদের জন্য। কারণ, আমাদের নতুন করে আর কিছু পাওয়ার নেই। আমি চাই না আমার মেয়ে এরকম একটা টক্সিক পরিবেশে বড় হোক। আমি চাই না আশেপাশের মানুষগুলো একে-অপরকে বাজে কথা বলছে শুনে ও বড় হোক।’
চারু আরও জানিয়েছেন, রাজীব চায় না সে সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়ের ছবি শেয়ার করুন। কারণ, এতে নাকি জিয়ানার উপরে খারাপ নজর পড়বে। এদিকে এসবে বিশ্বাস নেই তাঁর। এমনকী রাজীবের মা আর বোনও এসবে ভাইকেই বিশ্বাস করে। সঙ্গে রাজীব চায়, সে কাজ ছেড়ে দিক। সঙ্গে দাবি, পরিবারকে একটুও সময় দেয় না তাঁর বর। এমনকী, তার প্রথম বিয়ের কথা জানার পরেও তা অস্বীকার করেছে সবার কাছে।
এদিকে রাজীব জানিয়েছে, ‘প্রথম বিয়ের কথা কাউকে বলেনি। এমনকী ওর হোম টাউন বিকানিরেও কেউ জানে না। মানছি ওটা ওর পাস্ট। তবে আমাকে একবার বলতে পারত। আমি যেটা যথেস্ট সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করতাম।’