গত মাসেই প্রেমিকের পরিচয় প্রকাশ্যে আনেন বাংলা টেলিভিশনের পরিচিত মুখ অলকানন্দা গুহ। বেশ কিছু মাস ধরে অনুরাগীদের সাসপেন্সে রাখবার পর প্রকাশ্যে জানান, নিজের ‘ইরাবতীর চুপকথা' পরিচালকের সঙ্গে প্রণয় ডোর বাঁধা পড়েছেন তিনি। আর এই ঘোষণার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই অভিনেত্রী জানিয়ে দেন আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন তাঁরা।
ঠিক কেমন ছিল এই প্রেম কাহিনির শুরুটা? কেমনভাবে মনের কথা অলকানন্দাকে বলেছিলেন মনোজিত (মজুমদার)? এক সাক্ষাত্কারে সেই গোপন কাহিনি ফাঁস করে রীতিমতো হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়েছেন মহাপীঠ তারারীঠ ধারাবাহিকের 'বিপত্তারিণী'।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘সত্যি বলছি ওইদিনটার কথা ভাবলেই আমার হাসি পায়। আমরা ইরাবতীর চুপকথার শ্যুটিং করছিলাম ওই দিন, ও আমাকে বলে শ্যুটিং শেষে ওর সঙ্গে বাইরে যেতে। আমি একটু চমকে গিয়েছিলাম, কিন্তু হ্যাঁ বলি। প্যাক-আপের পর একটা জায়গায় গিয়েছিলাম আমরা… ও হঠাত্ বলে উঠল ‘আমি মাস ভালোবাসি, মাংস খাই না, আমার মা মাংস ভালোবাসেন। যদি তুমি আমাকে বিয়ে কর আমার মা মাংস খাওয়ার সঙ্গী পাবেন। আমি তো পুরো চমকে গিয়েছিলাম! প্রথমে বোঝবার চেষ্টা করি যে ও সত্যি আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছে নাকি এটা কোনও ইয়ার্কি চলছে! যখন ও বলল, ও সিরিয়াসলি এই কথাগুলো বলছে, আমার মনে হল ছেলেটা নির্ঘাত পাগল'। সেইদিন মনোজিতের এই অদ্ভূত বিয়ের প্রস্তাবের কোনও জবাব দেননি অলকনন্দা। পরের বেশ কিছুদিন ইরাবতীর চুপকথার সেটে একটু অদ্ভূত কেটেছে অভিনেত্রীর কারণ পরিচালককে এড়িয়ে যাওয়া সহজ নয় কিন্তু পালিয়ে পালিয়েই বেড়িয়েছেন তিনি।
অলকানন্দা জানান, মনোজিতের বিয়ের প্রস্তাবের কথা সরাসরি মা'কে জানান তিনি। মা সোজাসুজি জানিয়ে দেন মনের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নিতে। এরপর মেসেজ করে মনের কথা জানিয়ে দেন অলকানন্দা। ব্যাস… আর কি, দুই পরিবারের আর্শীবাদে শীঘ্রই চারহাত এক হতে চলেছে দুজনের। আগামী ফেব্রুয়ারি (২০২২)-তে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন অলকানন্দা-মনোজিত।
এনগেজমেন্টের অনুষ্ঠান হবে কলকাতায়, এরপর কল্যাণীতে হবে বিয়ের মূল অনুষ্ঠান। ইরাবতীর চুপকথা, মহাপীঠ তারাপীঠ ছাড়াও আলো ছায়া-র মতো ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন অলকানন্দা।অন্যদিকে এই মুহূর্তে 'ওগো নিরুপমা' পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন মনোজিত। এর আগে শন-অনামিকার ‘এখানে আকাশ নীল’ও পরিচালনা করেছেন অলকানন্দার হবু বর।