তনুশ্রী শংকর-কন্যা শ্রীনন্দা শংকরের একটি ভিডিয়ো খুব ভাইরাল বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াতে। যেখানে তিনি কথা বলেছেন, ছোটবেলা থেকে শংকর পরিবারের সদস্য হিসেবে যে চাপ তাঁকে সহ্য করতে হয়েছে তা নিয়ে। সঙ্গে যেভাবে ওজনের জন্য তিনি বডি শেমিংয়ের শিকার হয়েছেন, সেটাও উঠে এসেছে তাঁর কথাতে।
আনন্দ শংকর ও তনুশ্রী শংকরের মেয়ে শ্রীনন্দা যেমন ভালো নাচ করেন, তেমনই অভিনয়। বিশিষ্ট চিত্র পরিচালক অপর্ণা সেনের নির্দেশনায় কাজ করেছেন। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মতো সুপারস্টারের সঙ্গে স্ক্রিনও শেয়ার করেছেন তিনি। তব একটা জিনিস যা তাঁকে অনবরত তাড়া করে আসছে, তা হল ট্রোল। এবার সেটারই মুখ বন্ধ করলেন।
শ্রীনন্দা একটি রিল শেয়ার করেন, যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘গোট জীবনে আমাকে যে পরিমান বডি শেমিংয়ের শিকার হতে হয়েছে, ছোটবলায়, তরুণী অবস্থায়, আমার মনে হয় জনসম্মুখে ওরকম অবস্থা আর কারও হয়েছে। জনসম্মুখে বললাম কারণ আমার পরিবার জনপরিচিত। আমার তো পরিবারের নাম ব্যবহার করতে ভালোও লাগে না, কিন্তু পদবিটা তো আর ফেলে দিতে পারি না! তবে আমি অন্তত আমার পরিবারের পরিচয় ব্যবহার করে কাজ পাওয়ার চেষ্টা করিনি। আমি সবসময়ই এসবের থেকে দূরে থাকতে চেয়েছিলাম… তুমি এটা করতে পারবে না, তোমার ওভাবে থাকা উচিত।’
ওজন নিয়ে যে ট্রোলিং তার উল্লেখ করে শ্রীনন্দা বলেন, ‘আমার ছোটবেলা অনেক ওজন ছিল। প্রায় ১১২ কেজি। কেউ কখনো জিজ্ঞাসা করেনি কেন এরকম। অনেকসময় আমরা এমন মানসিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাই, যখন আমরা মন ভালো করতে খাবার খাই। আমি নিশ্চিত তোমরা অনেকেই আমার কথার সঙ্গে সহমত হবে। আর এরপর ওজন কমানোর জন্য, আমি বোকা বোকা কাজ করা শুরু করি। যেগুলো সরাসরি আমার স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে। এখন আমি নিজের খাবারের একটা ব্যালেন্স তৈরি করতে পেরেছি। তা হয়তো তোমাদের সঙ্গে ভাগও করে নেব। তবে, আমাকে যেমন মোটা হওয়ার জন্য কটাক্ষ করা হয়েছে, তেমন রোগা হওয়া নিয়েও। শুধু একটা কথাই বলতে চাই, আপনাদের প্রোফাইল লক, প্রোফাইল ফোটোটাও দেখা যায় না! সুতরাং আপনারা কে আর কী বললেন তাতে আমার কিছু যায় আস না। আমার যেটা করার, আমি সেটাই করব।’
এরপর যখন শ্রীনন্দার সামনে বসে থাকা এক ব্যক্তি শ্রীনন্দাকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি কেন শঙ্কর ফ্যামিলিদে থেকে সুবিধা নিচ্ছ না?’ তাতে শ্রীনন্দা বলে ওঠেন, ‘আমি তো এটাও নিশ্চিত নই যে, সব শংকরদের আদৌ পছন্দ করি কি না আমি! ওরা খুব ট্যালেন্ডেড। তবে এই যে বললাম, আমার জন্য এটা একটা ব্যাগেজ। লোকে বলবে ও তুমি শংকর। আমি এসব থেকে বেরিয়ে এসেছি। তুই শংকর মানে তোকে এরকম করতে হবে বা ওরকম করতে হবে, এরকম পোশাক কেন পরেছিস, এরকম খাবার কেন খাচ্ছিস। আমি এসবে আর কান দেই না। কারণ আমি মনে করি যতক্ষণ না বেআইনি করছি বা কেউ আমার কথায় আঘাত পাচ্ছে, আমার কিছু যায় আসে না। আমার মা-বাবাও আমাকে সেই শিক্ষাই দিয়েছেন।’