RG কর নিয়ে শুরু থেকেই প্রতিবাদে গলা তুলেছেন, পথে নেমে প্রতিবাদও করেছেন তাঁরা। জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনে তাঁদের সমর্থন করতে গিয়ে বারবার ধর্মতলায় ছুটে গিয়েছেন বিদীপ্তা চক্রবর্তী, চৈতী ঘোষাল, দেবলীনা দত্ত, প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়, তানিকা বসু, বিরসা দাশগুপ্ত, সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়রা। আর এবার ১৯ অক্টোবর, শনিবার সকাল ১০টা থেকে প্রতিকী অনশনে বসেছেন বিরসা-বিদীপ্তা, চৈতী, দেবলীনা, তানিকা, প্রান্তিক, সৌম্যরা। শনিবার সকাল ১০টা থেকে রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত টানা ১ দিন অনশনে থাকবেন তাঁরা।
জানা যাচ্ছে, এই ১ দিন তাঁরা শুধু জল খাবেন, আর প্রয়োজনে ওষুধ খাবেন। এই মুহূর্তে যে জুনিয়র ডাক্তাররা ধর্মতলার মঞ্চে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন, শনিবার তাঁদের ছবি শেয়ার করে ফেসবুকের পাতায় বিদীপ্তা চক্রবর্তী লেখেন, ‘এদের কে চেনেন নিশ্চয়ই ? বিশ্বাস করুন, গত ১৪ দিন, জল ছাড়া কিচ্ছু খায়নি। বই পড়ছে। গান শুনছে। বসে রয়েছে সুদিনের দিকে তাকিয়ে, বসে রয়েছে অভয়ার ন্যায়বিচারের জন্যে, বসে রয়েছে আমার-আপনার একটা উপযোগী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্যে। আমরা কি কিছু করতে পারলাম ওদের জন্যে? উলটে, ওদের মনোবল ভাঙার জন্যে সব করেছি। এখনো করছি। তাই না? এখনো মুখপাত্ররা ডিনার করার পর মুখ খুললেই ওদের বিরুদ্ধে কথা বলছে। লজ্জা হয়? তাই বলি কি, মানুষের ডাকে যদি মানুষ না আসে,অমানুষ বলিয়া তাকে ডাকো ভীমনাদে।’
এদিকে এই প্রতিকী অনশনের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে চৈতি ঘোষাল সংবাদ প্রতিদিনকে বলেন, এই প্রতিবাদ কি শুধু ডাক্তারদের? ওরা তো সাধারণ মানুষের জন্যও কথা বলছেন। কর্মস্থল সুরক্ষিত হোক, সেটা সকলেই চান। চৈতির প্রশ্ন, ‘আমরা কি চাই ভেজাল ওষুধ বিক্রি হোক? থ্রেট কালচার চলুক? নাকি দালাল ধরে কাজ করতে চাই? কেউই এটা চাননা। তাই এই প্রতিবাদটা সকলের।’
চৈতির কথায়, এই দুর্নীতিতে সকলেরই ক্ষতি হয়েছে। আরজি করে যেটা ঘটেছে, সেটা কেউই চান না। আরজি কর নিয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদের পরও কুলতলি, কৃষ্ণনগরের মতো ঘটনা ঘটেছে। এটা তো বন্ধ হতে হবে। তাই এটা তো শুধু জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নয়, এটা সকলের। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনি এসে কথা বলুন, সরকারের মানবিক মুখটাও দেখতে চাই। দেরি হলেও এটা দেখতে চাই। ডাক্তারদের সঙ্গে যদি কিছু ঘটে যায় তাহেল কি এরাজ্যের মুখ দেশের কাছে ভালো হবে?’