কাউন্সিলর হয়েও ছাড় পেলেন না। নিজের এলাকা কামারহাটিতেই দুষ্কৃতীদের হাতে শারীরিক হেনস্থার শিকার হলেন অভিনেত্রী, কাউন্সিলর শ্রীতমা ভট্টাচার্য। ঘটনায় প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। জানা যাচ্ছে শারীরিক হেনস্থার ঘটনায় বেলঘরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শ্রীতমা।
ঠিক কী ঘটেছে, কোথায় ঘটেছে?
ঘটনাটি ঘটে রবিবার সন্ধ্যেয় আগরপাড়া মিলন সমিতি ক্লাবের সামনে। ওই এলাকায় বেশকিছুদিন ধরেই নাকি অসামাজিক কাজকর্ম ও জমি বেদখলের অভিযোগ পাচ্ছিলেন কাউন্সিলর শ্রীতমা। সেই অভিযোগের সুরহা করতেই রবিবার এলাকায় গিয়েছিলেন তিনি।
জানা যাচ্ছেন শ্রীপল্লি কমিটির কাজের খোঁজ খবর নিতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী, কাউন্সিলর। অভিযোগ, পল্লী কমিটির প্রেসিডেন্ট ও তাঁর দলবল কাউন্সিলর শ্রীতমাকে দেখা মাত্রই তাঁর উপর এবং তাঁর সঙ্গীদের উপর চড়াও হম। তাঁরা শ্রীতমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিলেন বলে অভিযোগ। পরবর্তী পর্যায়ে বিষয়টি ধাক্কাধাক্কিতে চলে যায়। এমনকি শ্রীতমার পা মারিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রতিবাদ করলে অভিনেত্রীকে ওই লোকজন মারতে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ঘটনার পর রবিবার রাতেই বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কামারহাটির ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
আরও পড়ুন-বিছানায় ছড়ানো ফুল, নীল জলরাশির মাঝে শ্রীময়ীর সঙ্গে Honeymoon-এ আরও রোম্যান্টিক কাঞ্চন
এদিকে সূত্র বলছে, যে লাল মোহনের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ তিনিই নাকি আবার নির্বাতনের জন্য শ্রীতমা ভট্টাচার্যের ইলেকশন এজেন্ট ছিলেন। শ্রীতমার কথায়, ‘লালমোহনই পুরো ঘটনায় উস্কানি দিয়েছেন, আমি শুধু সরকারি জমি বেদখল হওয়া নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম। এটা নাকি আমার অপরাধ!’
এদিকে শ্রীতমাকে হেনস্থার খবর কানে গিয়েছে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রর কানে। তিনি বলেন, ‘খবর পেয়েছি, অনেকে জানিয়েছে। কাউন্সিলরও জানিয়েছে। আমরা নজর রাখছি, ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেই চেষ্টা চলছে। একজন মহিলা কাউন্সিলরকে যদি শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়, সেটা গর্হিত অপরাধ। পুলিশ তদন্ত করছে। আমি চাই তদন্তে পুরো ঘটনা উঠে আসুক। আমিও দলীয়ভাবে সকলকে জানিয়েছি। সৌগত রায়ের কাছেও অভিযোগ জমা পড়েছে। উপরমহলেও।’