নিজে একটা সময় শিকার হয়েছিলেন ডিপ্রেশনের। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে মন খুলে কথা বলতে কোনওদিন দ্বিধাবোধ করেননি দীপিকা পাড়ুকোন। আন্তর্জাতিক মঞ্চেও মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব নিয়ে সরব হয়েছেন এই বলি সুন্দরী। তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন, 'আর পাঁচটা রোগের মতো উদ্বেগ এবং অবসাদও একটা রোগ এবং এই রোগের চিকিৎসা সম্ভব'। ডিপ্রেশন কাটিয়ে উঠে ২০১৫ সালে একটি ফাউন্ডেশন স্থাপন করেন অভিনেত্রী, নাম লিভ লাভ লাফ (Live Love Laugh)। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে এই সংগঠন।
১০ই অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। তার আগে তামিলনাড়ুর গ্রাম তিরুভাল্লুরে গিয়ে সেখানকার মানসিক রোগী, তাঁদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা মানুষজন, আইসিডিএস কর্মী এবং আশা কর্মীদের সঙ্গে সময় কাটালেন দীপিকা। সোমবার ইনস্টাগ্রামে এই সাক্ষাৎ-এর কিছু লেন্সবন্দি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। নিজের সংস্থাকে কুর্নিশ জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘জন্মলগ্ন থেকেই আমরা বদ্ধপরিকর সেইসব মানুষের জীবনটা একটু সুন্দর করে তুলতে যাঁরা মানসিকভাবে অসুস্থ। পাশাপাশি তাঁদের দেখভাল করা মানুষগুলোর খেয়াল রাখাটাও জরুরি। মেন্টাল হেলথ কেয়ারকে সবার কাছে পৌঁছে দিতে,সেটা সহজলভ্য করে তোলবার আরও একটা পদক্ষেপ…তামিলনাড়ুর গ্রামীণ ক্ষেত্রেও পৌঁছে গেলাম আমরা’।
দীপিকার শেয়ার করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে কেমনভাবে সুপারস্টারের স্টেটাস দূরে সরিয়ে ওই গ্রামেরই একজন হয়ে উঠলেন অভিনেত্রী। কারুর কান্না মোছালেন, কাউকে সাহস জোগালেন, কাগজের কাপে চা-ও খেলেন অভিনেত্রী, অচিরেই মিশে গেলেন সবার মাঝে।
দু-দিনের এই সাক্ষাতে তাঁর মন-প্রাণ ‘পরিপূর্ণ’, তবে ‘আরও অনেক কাজ করতে হবে’, এই উপলব্ধি নিয়েই ফিরেছেন দীপিকা পাড়ুকোন। সম্প্রতি এনডিটিভি-কেদেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, ‘আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, একজন কেয়ারগিভারের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমার মা আজ এখানে, আমার বোন এই উদ্যোগের সঙ্গে শুরু থেকে যুক্ত রয়েছে। আমিও কোনওদিন কেরিয়ারগিভারদের কথা শুনতে ভুলি না, সেগুলো অনুপ্রাণিত করে’।