‘সাপ’, এই শব্দটা শুনলেই ভয়েতে চমকে ওঠেন বেশিরভাগ মানুষ। তবে এমন মানুষও রয়েছেন, যাঁদের নাকি 'সাপ'-এ এক্কেবারেই ভয় নেই। দিব্যি হেসে-খেলে হাতে তুলে নিতে পারেন এই বিষধর প্রাণীদের। ভাবছেন, সে তো সাপুরে কিংবা বন দফতরের লোকজন হামেশাই করে থাকেন।
তবে নাহ, এবার সাপের সঙ্গে খেলতে দেখা গেল বলিউড অভিনেত্রী ইশা কোপিকর-কে। সঙ্গে দেখা গেল তাঁর মেয়ে রিয়ানাকেও। ইনস্টাগ্রামে নিজেই ভিডিয়োটি পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী ইশা কোপিকর। যাঁর ইনস্টাগ্রামে প্রায় ১.১ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে নীল-সাদা একটা কো-অর্ড সেট পরে পয়েছেন ইশা। চুল টপ নট করে বাঁধা। অভিনেত্রী দিব্যি হাতে তুলে নিয়েছিলেন সাপ-কে। সামনেই দাঁড়িয়েছিল ইশা কন্যা রিয়ানা। ভয়ের বালাই নেই তাকেও দিব্যি মায়ের হাত থেকে সাপটিকে নিজের হাতে তুলে নিতে দেখা গেল। ভিডিয়োটি পোস্ট করে ইশা শুধু ক্যাপশানে লিখেছেন, ‘নাগ দেবতা’।
ভিডিয়োর নিচে কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। একজন লিখেছেন, ‘আপনাদের ভয় বলে কি কিছু নেই।’ কেউ লিখেছেন, ‘এটা তো আমি জীবনেও করতে পারব না।’ কারোর কথায়, ‘বাবারে এসব কেউ করে!’
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে রেস্তোরাঁর মালিক টিম্মি নারং-কে বিয়ে করেন অভিনেত্রী ইশা কোপিকর। তাঁদেরই মেয়ের নাম রিয়ানা। তবে গত বছরই স্বামী টিম্মি নারং-এর সঙ্গে ১৪ বছরের দাম্পত্যে ইতি টেনেছেন ইশা।
এবিষয়ে প্রাক্তন দম্পতির ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি জানিয়েছিলেন, বেশ কিছু বছর ধরেই নাকি বনিবনা হচ্ছিল না ইশা ও টিম্মির। তবে তাঁরা সবরকমভাবে বিয়েটা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। তবে সমস্যা মেটেনি। অবশেষে পারস্পরিক তাঁরা ডিভোর্সের পথে হাঁটেন। গতবছর নভেম্বরেই তাঁদের ডিভোর্স চূড়ান্ত হয়। নিরুপায় হয়েই ডিভোর্স, তবে ভালোবাসার মানুষের থেকে আলাদা হয়ে নাকি ভেঙে পড়েছিলেন ইশা। যদিও এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে ইশা বলেছিলেন, ‘এত তাড়াতাড়ি আমার বলার কিছুই নেই। ব্যক্তিগত জীবন আড়ালেই রাখতে চাই। সহযোগিতা পেলে খুশি হব।’ স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কোনও কথা বলেননি টিম্মি নারং নিজেও।
জানা যায়, জিমে আলাপ হয়েছিল ইশা ও টিম্মির। ৩ বছর প্রেম করার পর ২০০৯ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তাঁরা। বিয়ের পাঁচ বছরের মাথায় কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ইশা। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে জন্ম হয়েছিল রিয়ানার। বর্তমানে রিয়ানার বয়স ১১ বছর।