অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডিজের (Jacqueline Fernandez) বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে, এমনটাই খবর দিল্লি পুলিশ সূত্রে। বুধবার ২১৫ কোটির আর্থিক তছরুপের মামলায় অভিযুক্ত নায়িকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করল দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স উইং (Economic Offences Wing)। আট ঘন্টার ম্যারাথন জেরার মুখে পড়েন এই শ্রীলঙ্কান সুন্দরী। জ্যাকলিনের পাশাপাশি এদিন তদন্তকারীরা জেরা করলেন পিঙ্কি ইরানিকেও। কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জ্যাকলিনের আলাপ করিয়েছিলেন এই পিঙ্কি।
এদিন সংবাদ সংস্থা এএনআইকে ইকোনমিক অফেন্স উইং-এর স্পেশ্যাল সিপি রবীন্দ্র যাদব দানান, ‘আমরা আজ জ্যাকলিন ফার্নান্ডিজকে জেরা করেছি। সুকেশের থেকে কী কী উপহার নিয়েছেন তা জানতে চাওয়া হয়েছে, আরও অনান্য বিষয় নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছে। পিঙ্কি ইরানি যিনি সুকেশের সঙ্গে জ্যাকলিনের আলাপ করান, তাঁকেও ডাকা হয়েছিল। প্রয়োজন মতো ফের দুজনকে ডাকা হবে, তদন্ত এগোচ্ছে’।
পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় জ্যাকলিনের বয়ানে গড়মিল ধরা পড়েছে। শুরুতে জ্যাকলিন ও পিঙ্কিকে আলাদা আলাদা জেরা করা হয়, এরপর তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। সুকেশের থেকে বিলাসবহুল গাড়ি, প্রাইভেট জেটের খরচ, দামি পোশাক, ব্র্যান্ডেড ব্যাগ থেকে শুরু করে ঘোড়া, বিড়ালের মতো উপহারও পেয়েছেন জ্যাকলিন।
বর্তমানে জেলবন্দি সুকেশ চন্দ্রশেখর একাধিক হাই-প্রোফাইল ব্যক্তির থেকে টাকা হাতিয়েছেন, যার অন্যতম ফর্টিস হেলথকেয়ার প্রোমোটার শিবিন্দর মোহন সিং-এর স্ত্রী অদিতি সিং।
কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জেরে গত কয়েকমাস ধরেই বিতর্কে অভিনেত্রী। গত মাসেই ইডি-র তরফে দিল্লি হাইকোর্টে পেশ করা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে অভিযুক্ত তালিকায় নাম রয়েছে জ্যাকলিনের। এতেই অভিনেত্রীর বিপদ কয়েকগুণ বেড়েছে।
অতীতে সুকেশের সঙ্গে প্রেম সম্পর্ক ছিল জ্যাকলিনের। নিজের মুখে একথা জানিয়েছেন জেলবন্দি কনম্যান। দুজনের একাধিক অন্তরঙ্গ ছবি ফাঁস হয়েছে নেটদুনিয়ায়। সোমবার দিল্লির ইকোনমিক উইংস-এর দিল্লিস্থিত মন্দির মার্গের অফিসে বেলা ১১টায় হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল জ্যাকলিনের। তবে অভিনেত্রী জানিয়েছেন আগে থেকেই অন্য জায়গায় ওইদিন কাজের কথা দিয়ে রেখেছেন তিনি। তাই তদন্তকারীদের থেকে বাড়তি সময় চান জ্যাকলিন। এরপর নতুন করে সমন জারি হয় জ্যাকলিনের নামে। এদিন সেই সমনের ভিত্তিতেই জেরা করা হল নায়িকাকে।
এই মামলাতে নোরা ফতেহি-কেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি এবং দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক উইংস। তবে চার্জশিটে নোরাকে অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করেনি ইডি। নোরার কথায়, সুকেশের অপরাধমূলক কাজকর্ম সম্পর্কে কোনও ধারণা ছিল না তাঁর। সুকেশের সঙ্গে অপর বলিউড সেলেবদের সম্পর্ক নিয়েও কিছু জানেন না তিনি।