নিজের দীর্ঘ অভিনয় জীবনে চরিত্রের প্রয়োজনে একাধিক ভূমিকাতেই অবতীর্ণ হতে হয়েছে জুহি চাওলাকে । কখনও বা স্বামীর কাছে দিনের পর দিন নির্যাতনের যন্ত্রনা সহ্য করে পড়ে থাকা স্ত্রী ( দারার ) আবার কখনও একজন উঠতি মডেল যে জীবনে অনেক বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখে ( ইয়েস বস ) - সব ক্ষেত্রেই সমান সাবলীল ছিলেন এই বলি সুন্দরী । তাঁর কেরিয়ারের অধিকাংশ ছবিই আজও দর্শক এমনকি ছোটদের মধ্যেও বেশ জনপ্রিয় । কিন্তু তাঁর নিজের দুই সন্তান জাহ্নবী এবং অর্জুন যখন পর্দায় জুহির প্রথম দিকের ছবিগুলিতে অভিনয় দেখে তখন তারা রীতিমতো অস্বস্তির সম্মুখীন হয় । পর্দার নায়কের সাথে মায়ের রোম্যান্স কোনওভাবেই হজম করতে পারে না তারা , এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘মিস্টার এন্ড মিসেস খিলাড়ি’ খ্যাত অভিনেত্রী জানান ,' আসলে পর্দায় আমাকে দেখতে ওরা লজ্জা পায় । একবার আমার স্বামী জয় (মেহেতা) ওদেরকে হাম হ্যায় রাহি পেয়ারকে দেখার কথা বলেছিলেন । কিন্তু খানিকটা অদ্ভুত ভাবেই অর্জুন আমার কাছে জানতে চেয়েছিল ছবিটি কি রোমান্টিক ? বাস্তবিকেই ছবিটি রোমান্টিক- কমেডি জানতে পেরে দেখতে রাজি হয়নি অর্জুন । একমাত্র ‘ম্যায় কৃষ্ণা হুন’ এবং ‘চক অ্যান্ড ডাস্টার’ ছবিতেই জুহির অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন তাঁর সন্তানেরা ।
১৯৮৬ সালে সলতানাৎ ছবির মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন জুহি চাওলা । কায়ামত সে কায়ামত তকের হাত ধরে খ্যাতির শিখরে উঠে আসতে অপেক্ষা করতে হয় আরও দুই বছর । বোল রাধা বোল , ইশক, হাম হ্যায় রাহি প্যায়ার কে, ডর, ইয়েস বসের মতো অজস্র রম-কমে অভিনয় করেছেন জুহি। আবার মাই ব্রাদার নিখিলের মতো তথাকথিত নিউ এজ ছবিতেও দাপিয়ে অভিনয় করেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের এই যৌথ মালকিন । সাম্প্রতিককালে সোনম কাপুর , অনিল কাপুর এবং রাজকুমার রাও এর সাথে ' এক লড়কি কো দেখা তো আয়সা লাগা ' ছবিতে স্ক্রিন শেয়ার করতে দেখা গিয়েছে । এছাড়াও খুব শীঘ্রই শর্মাজী নমকিন ছবিতে দেখা যেতে চলেছে জুহিকে, যা হতে চলেছে ঋষি কাপুরের শেষ ছবি।