কৃষিবিল বিরোধী আন্দোলন নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন তুলেছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। প্রথম থেকেই কৃষিবিল নিয়ে কেন্দ্রের পাশে পর্দার ঝাঁসির রানি। ফের একবার আন্দোলনরত কৃষকদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কঙ্গনা। পাশাপাশি গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কের প্রেক্ষিতে নিজের ব্যর্থতার প্রসঙ্গও টেনে আনেন অভিনেত্রী। প্রজাতন্ত্র দিবসের রাজধানী দিল্লিতে পূর্বনির্ধারিত শান্তিপূর্ণ ট্র্যাক্টর ব়্যালি হিংসাত্মক হয়ে উঠা নিয়ে আফসোস জাহির করে তিনি বলেন, ‘আমি ব্যর্থ হয়েছি’। জানান, ‘লজ্জায় আমার মাথানত হয়ে গিয়েছে’।
টুইট বার্তায় কঙ্গনা লেখেন- ‘আমি সর্বতোভাবে চেষ্টা করেছিলাম, তবে ব্যর্থ হলাম…আমি হয়ত সিন্ধুর মধ্যে বিন্দু, তবুও আমার ব্যর্থতাটা প্রকাণ্ড। অন্তত তেমনটাই আমি অনুভব করছি… আমার মাথা লজ্জায় হেঁট হয়ে গেছে। আমার দেশের সংহতি রক্ষা করতে আমি ব্যর্থ।আমি হয়ত কেউ নই, আবার আমাকে নিয়েই তো এই দেশ…আজ আমি ব্যর্থ’।
পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনীর উপর উত্তেজিত জনতার আক্রমণের ছবির কোলাজ তুলে ধরে এক জৈনক প্রশ্ন করেন, কোথায় বলিউডের ‘ক্রান্তিকারিরা’? যাঁরা কঙ্গনা রানাওয়াতকে ট্রোল করছিলেন যখন উনি দিলজিত্ দোসাঞ্জ কোথায় এই প্রশ্ন তুলেছিলেন, জানতে চেয়েছিলেন আন্দোলনরত কৃষকদের সমর্থনের পিছনের উদ্দেশ্য কী? এই টুইট রি-টুইট করেই আত্মবিশ্লেষণমূলক টুইটটি লেখেন কঙ্গনা।
হিংসাত্মক কৃষক আন্দোলন ঘিরে কার্যত দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে দেশ। তবে ৪০ টির বেশি কৃষক সংগঠনের মাথা সংযুক্ত কিষান মোর্চার তরফে হিংসাত্মক আন্দোলনের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। একইসঙ্গে যে ‘অসামাজিক’ লোকজন হিংসা ছড়িয়ে আন্দোলনকে কলুষিত করেছেন, তাঁদের সঙ্গে স্পষ্টত লক্ষ্মণরেখা টেনেছে মোর্চা।
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন আন্দোলনকারীদের লালকেল্লা দখলের প্রচেষ্টান নিয়ে বিস্ফোরক ভিডিয়ো বার্তায় কঙ্গনা বলেন, 'লালকেল্লা থেকে যে ছবি উঠে আসছে তা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। সকলকে জেলে পোরা হোক যারা এই তথাকথিত কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করেছে। তাঁদের শাস্তি দেওয়া দরকার, এর কোনও তো একটা শাস্তিবিধান থাকা দরকার।