বিতর্কিত কৃষি আইনের পর এবার ‘অগ্নিপথ’ ইস্যুতেও মোদী সরকারের সমর্থনে সুর চড়ালেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। ‘অগ্নিপথ প্রকল্প’ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি দেশজুড়ে। তবে বরাবরের মতো এবার কেন্দ্র সরকারের সমর্থনে এগিয়ে এলেন বলিউডের ‘ধাকড়’ অভিনেত্রী। কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্পকে ‘গুরুকুল’-এর সঙ্গে তুলনা করলেন ‘কুইন’। এই মামলায় ইজরায়েলের উদাহরণ টেনে আনেন কঙ্গনা। জানান, সে দেশে আর্মি প্রশিক্ষণ দেশের যুবসম্প্রদায়ের জন্য বাধ্যতামূলক।
এদিন ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কঙ্গনা লেখেন, প্রতিদিন পাবজির নেশায় হাজার হাজার যুবক নিজেদের ভবিষ্যত ধ্বংস করছে, এই ধরণের সংস্কার খুব প্রয়োজনীয় তাঁদের জন্য। ‘মনিকর্ণিকা: দ্য কুইন অফ ঝাঁসি’ নায়িকা লেখেন, ‘ইজরায়েলের মতো একাধিক দেশে সেনার প্রশিক্ষণ নেওয়া বাধ্যতামূলক। প্রত্যেকেই জীবনের কয়েকটা বছর সেনার জন্য উৎসর্গ করে জাতীয়তাবাদ, নিয়মানুবর্তিতা শেখে এবং দেশকে রক্ষা করার আসল অর্থ জানতে পারে।’
এরপর কঙ্গনা আরও জানান, ‘অগ্নিপথ প্রকল্প শুধু কেরিয়ার গড়ার বা রোজগার করবার একটা উপায় মাত্র নয়, এর ভিন্ন মানে রয়েছে। প্রাচীনকালে পড়ুয়াদের শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে গুরুকুলে যেতে হত, এটাও প্রায় তেমনই। আর এর জন্য আবার টাকাও দেওয়া হচ্ছে। যুব সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ মাদক এবং পাবজি-র মতো গেমের নেশায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, তাঁদের সংশোধন প্রয়োজন’। সকলকে এগিয়ে এসে কেন্দ্রের এই প্রকল্পের সমর্থন জানানোর আর্জিও রাখেন অভিনেত্রী।
অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে অস্থায়ীভাবে ৪ বছরের জন্য সেনায় কর্মী নিয়োগ হবে। যাঁদের নাম হবে ‘অগ্নিবীর’। সেনাবাহিনীর মোট সংখ্যা অক্ষুন্ন রেখে আধুনিকীকরণের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। যদিও অস্থায়ী পদে নিয়োগ নিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা অসন্তুষ্ট। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বিহার, উত্তরপ্রদেশ-সহ একাধিক রাজ্যে। বাংলাতেও বিক্ষোভের আঁচ পড়েছে। যদিও সরকারের দাবি ‘ভুল বোঝানো হচ্ছে’ চাকরিপ্রার্থীদের।