তিনি সর্বদাই থাকেন সংবাদ শিরোনামে। দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা করিনা কাপুর খান। আসতে চলেছে তৈমুরের ছোট্ট ভাই কিংবা বোন। ডিসেম্বরে চারে পা দেবে তৈমুর। আর ২০২১-এর শুরুতেই নতুন সদস্যের আগমন হতে চলেছে পতৌদি পরিবারে। ছেলেকে ঘিরেই এতদিন ছিল সইফিনার গোটা জগত। তবে বরাবরই মনে মনে কন্যা সন্তানের কামনা করেছেন করিনা।
তৈমুরের জন্মের আগে করিনাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ছেলে না মেয়ে, কী হলে তিনি বেশি খুশি হবেন? সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, ছেলে হোক বা মেয়ে, তাঁর বা সইফের তা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। তবে মেয়ে হলে বেশি খুশি হবেন তিনি, ঘনিষ্ট মহলেও এমনটাই প্রকাশ করেছিলেন করিনা। এই বছরেই ৫০ ছুঁয়ে ফেলেছেন সইফ, চতুর্থ সন্তানের আগমন ঘিরে এক্সাইটেড তারকাও। প্রথম স্ত্রী অমৃতার সঙ্গে সইফের দুই সন্তান- সারা ও ইব্রাহিম। বড় মেয়ে সারা ২৬-এ পা দেওয়ার আগেই ফের একবার সন্তানের মুখ দেখবেন সইফ।
গ্লোবাল সিটিজেন অর্গানাইজেশনের একটি ইন্টারভিউতে করিনা জানিয়েছিলেন, 'আমি আর সইফ দুজনে যেখানেই যাই আমাদের একটাই প্রশ্ন করা হয়, মেয়ে নাকি ছেলে কোনটা চাই? আপনারা কি জানতে পেরেছেন? আমি শুধু বলতাম, শুনুন ছেলে আর মেয়ের মধ্যে পার্থক্য কোথায়! আমি কন্যা সন্তান এবং আমার মেয়ে হলে দারুণ লাগবে। আমি মেয়ে হয়ে বাবা-মায়ের জন্য ছেলের থেকে বেশি কাজ করেছি।
তিনি আরও বলেন, 'শুধু আমি বা আমার সন্তান নয় আমার মতো লক্ষাধিক মেয়ে এই কাজ করছে। যারা মনে করেন যে কন্যা সন্তান কোনও অংশ কম সেটা ভুল ধারণা, এখন মেয়েরাও সবক্ষেত্রে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পুরুষদের টেক্কা দিচ্ছে, তাঁরা কারুর উপর নির্ভর করে চলে না। পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই মানতে হবে যে একমাত্র মেয়েরাই তাঁদের ভিতর এক নতুন জীবনকে বহন করবার ক্ষমতা রাখে। এটি সত্যিই একটা আনন্দ ও গর্বের বিষয়।
উল্লেখ্য, অগস্ট মাসে করিনা-সইফ এক যৌথ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন- ‘আমরা খুব খুশি হয়ে যাচ্ছি যে শীঘ্রই আমাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা বাড়তে চলেছে!! ধন্যবাদ আমাদের সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের তাঁদের ভালোবাসা ও সমর্থনের জন্য’।