সদ্য বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। বরাহনগরের বিধায়িকা তিনি। আর তাই টালিগঞ্জ ছেড়ে আপাতত বরাহনগরে এসে থাকা শুরু করেছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এতদিন টালিগঞ্জে থাকলেও সায়ন্তিকার বড় হওয়া কিন্তু সল্টলেকে। তবে অভিনেত্রী তথা বিধায়িকা সায়ন্তিকার ব্যক্তিগত জীবনটা কিন্তু বেশ আটপৌরে। সম্প্রতি রান্নাবান্না থেকে খাওয়াদাওয়া সহ নানান বিষয়ে কথা বলেছেন সায়ন্তিকা।
খাওয়াদাওয়া, রান্নাবান্না নিয়ে সায়ন্তিকা সম্প্রতি ‘এইসময়’কে বলেন, ‘মা আমাকে ভালোবেসে সবকিছু খেতে শিখিয়েছেন। সেকারণে, এমন কিছু নেই, যা আমি অপছন্দ করি। সেজন্য মাকেই ধন্যবাদ দিতে ইচ্ছে করে। যাঁরা সবকিছু খেতে ভালোবাসে, তাদের কোনওকিছুতেই কোনও সমস্যা হয় না। উচ্ছে আলুসিদ্ধ, নিম-বেগুন, এসব আমার খুবই পছন্দের। খুচুরি, লাবড়া খেতেও আমি দারুণ ভালোবাসি। শুধুই লাবড়া খেয়ে থেকে যেতে পারি। মটন, ইলিশমাছ, মুড়িঘণ্ট, এগুলো আমার খুব প্রিয়। শাকসবজি খেতে ভীষণ ভালোবাসি।’
তবে শুধু খাওয়াদাওয়া নয়, এর পাশাপাশি শরীরচর্চাও নিয়মিত করেন সায়ন্তিকা। অভিনেত্রী, তথা বিধায়িকা জানিয়েছেন, জিমে যাওয়ার সময় না পেলে বাড়িতেই শরীরচর্চা করে নেন। তবে এক্সারসাইজ না করে থাকতে পারেন না বলে জানান।
সায়ন্তিকা জানিয়েছেন, তিনি যে ভীষণ কড়া ডায়েটে থাকেন, তা নয়। পরস্থিতি অনুযায়ী ডায়েটের মেনু ঠিক করেন। বাঁকুড়ায় যখন থাকতেন, তখন কখনও গ্রিলড চিকেন, চিকেন স্ট্যু বানিয়ে খেয়েছেন। আবার সেখানকার টাটকা সবজিও তাঁর ভীষণ পছন্দের ছিল। ভাত খাওয়া খারাপ, একথায় তিনি বিশ্বাস করেন না বলে জানান। তবে পরিমাণ মেপে খাওয়া উচিত বলে মনে করেন। তাঁর কথায়, ডায়েটে থাকার সময়েও অনেকে বাইরে থেকে খাবার আনান, তার থেকে ভাত, ডিম সিদ্ধ খওয়া ভালো। তাই পরিস্থিতি অনুযায়ী ডায়েট ঠিক করা উচিত।
তবে বিধায়ক হওয়ার পর যখন ঠিকমতো ডায়েট করার সময় পাচ্ছেন না, তখন টক দই, শসা খেয়ে শরীর ঠিক রাখছেন বলে জানান সায়ন্তিকা। তবে নিজে রান্না করতে পারেন কিনা সেবিষয়ে সায়ন্তিকা জানান, লক-ডাউনের আগে তিনি রান্না করতে পারতেন না, তবে এখন পারেন, বন্ধুদের রান্না করে খাওয়াতেও পারেন। তবে রান্না করলে মা-কে ফোন করে রেসিপি জেনে নেন বলে জানান। বিদেশে গেলেও সেখানকার মতো করে খাবার খেতেই পছন্দ করেন বলে জানিয়েছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে কখনও পিৎজা, কখনও বা চাইনিজ, কন্টিনেন্টাল সবই খান।