মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রয়াত হয়েছেন ‘গীতশ্রী’ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। বাংলা সংগীতের জগত আলোকিত হয়ে উঠেছিল সন্ধ্যা যুগে। তাঁর গলায় ‘এই পথ যদি না শেষ হয়….’, 'ঘুম ঘুম চাঁদ...', 'আমি স্বপ্নে তোমায় দেখেছি...'-র মতো গান আজও বাঙালির মননে অমলিন রয়েছে। 'মহানায়িকা' সুচিত্রা সেনের ঠোঁটে তাঁর গাওয়া সব গান ইতিমধ্যেই জায়গা করে নিয়েছে বাংলা সিনেমার ইতিহাসে। তাই তো 'মহানায়িকা'-র মৃত্যুর পর তাঁর 'কণ্ঠ' শোনার ইচ্ছে হলে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে ফোন করতেন সুচিত্রা-কন্যা মুনমুন সেন। তাঁর কথায়, 'ভাবতাম একজন আছেন, যাঁকে ফোন করলে আমার মায়ের গলা খুঁজে পাব। আবার, শুনতে পাবো মাকে।' সম্প্রতি, সংবাদ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় প্রসঙ্গে একথার পাশাপাশি আরও একটি না জানা ঘটনাও জানিয়েছেন মুনমুন।
মুনমুন সেন জানালেন একদিন সকালে তিনি মা’কে খুব ‘মিস’ করছিলেন। তাই ফোন করেছিলেন তাঁর 'সন্ধ্যাদি-কে'। যদিও প্রথমে সঙ্কোচ করেছিলেন কারণ সেভাবে আলাপ ছিল না। যদিও পরিচয় তো ছিলই। যাই হোক, এরপর ফোনের এপার থেকে সেদিন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে মুনমুন সোজাসুজি বললেন ,'আজ তাঁর মায়ের গলাটা খুব মিস করছেন তাই তোমাকে ফোন করলাম, আমার মায়ের গলাটা শুনব বলে। হেসে, হঠাৎ তখন সন্ধ্যাদি উলটো আবদার করে বসলেন। আমার কাছেই উল্টে গান শুনতে চাইলেন!' বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর কথায়, 'গানের 'গ'-ও জানি না। শেষমেশ ‘ঘুম ঘুম চাঁদ ঝিকিমিকি তারা এই মাধবী রাত, আসেনি তো বুঝি আর জীবনে আমার’ গানটি শোনালেন।মা-কে মিস করছিলাম বলে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছিল তা মুহূর্তেই দূর করে দিলেন সন্ধ্যাদি।'
শুধু তাই নয়, সুচিত্রা-কন্যা আরও জানান যে স্বয়ং 'মহানায়িকা'-ই নাকি বলতেন' সন্ধ্যা না থাকলে, আমার কাজ অনেক বেশি শক্ত হত। আসলে, বিশ্বের কাছে মায়ের কণ্ঠ তো ছিলেন সন্ধ্যাদিই।' কথাশেষে মুনমুনের আক্ষেপ, 'এখন মা’কে মিস করলে আর কাকে ফোন করব? '