অভিনত্রী পল্লবী দে-র রহস্য মৃত্যুর পর নানা ধরনের থিওরি সামনে আসছে। প্রয়াত অভিনেত্রীর পরিবারের তরফ থেকে লিভ ইন পার্টনার সাগ্নিকের উপর খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আপাতত গড়ফা থানায় আটক করে রাখা হয়েছে সাগ্নিক চক্রবর্তীকে। তবে পুলিশের কাছে তিনি জানিয়েছেন, আর্থিক সমস্যায় ভুগছিলেন পল্লবী।
খবর অনুসারে সাগ্নিক পুলিশকে জানিয়েছেন, আর্থিক দিক নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলেন পল্লবী। ইএমআই-তে গাড়ি-সহ একাধিক জিনিস কিনেছিলেন। কিন্তু হাতে সেরকম কাজ ছিল না। ‘মন মানে না’ ধারাবাহিকের পর কোনও কাজও পাচ্ছিলেন না। ইআমআই শোধ করা নিয়েই তাই চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। সাগ্নিক নিজেও নাকি বান্ধবীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। আরও পড়ুন: আত্মহত্যা নাকি খুন? অভিনেত্রী পল্লবীর ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে মিলল ইঙ্গিত
সাগ্নিকের এই বক্তব্য যাচাই করছে পুলিশ। সঙ্গে পল্লবীর মৃত্যুর যে সময় তিনি দেখিয়েছেন, সেটাও ঠিক কি না, মিলিয়ে দেখা হবে পুলিশের তরফে। জানা গিয়েছে সিগারেট খেতে বিল্ডিং থেকে বের হন সাগ্নিক। ফিরে দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। তারপর দরজা ভেঙে পল্লবীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। আরও পড়ুন: পল্লবীর বান্ধবীকেই বাড়িতে আনতেন সাগ্নিক একা থাকলে, সে কি টলিউড থেকেই?
ওদিকে মেয়ে মারা যাওয়ার পর চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন পল্লবীর বাবা। তাঁর দাবি সাগ্নিক বিবাহিত ছিলেন। সেটা লুকিয়েই একসঙ্গে থাকা শুরু করেন। এমনকী, পল্লবী শ্যুটে চলে গেলে একটা মেয়েও নাকি বাড়িতে আসত। আর জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর দাবি করেছিলেন, ডিভোর্সের জন্য আবেদন করেছেন তিনি। সঙ্গে পল্লবীর বাবা জানিয়েছেন তাঁর মেয়ের গায়ে হাতও তুলত সাগ্নিক।
হেল্পলাইন নম্বর: ওয়ালাইফ ফাউন্ডেশন - ৭৮৯৩০৭৮৯৩০