সন্তান জন্মের পর প্রায় সব বাবা-মায়েরই জীবনই বদলে যায়, বিশেষ করে মায়েদের। ঠিক যেমনটা ঘটেছে অভিনেত্রী ঋদ্ধিমা ঘোষের সঙ্গে। ছেলে ধীর আসার পর থেকে বদলে গিয়েছে ঋদ্ধিমা-গৌরবের জীবনের ছন্দ। সম্প্রতি ছেলেকে নিয়ে মুখ খুলেছেন ঋদ্ধিমা।
সম্প্রতি এই সময়'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঋদ্ধিমা ঘোষ বলেন, ধীরের জন্মের দিনটা তাঁর কাছে স্বপ্নের মতো ছিল। ঋদ্ধিমার কথায়, ‘এখনও চোখ বন্ধ করলেই সেই দিনটিতে ফিরে যেতে পারি।’ তবে অভিনেত্রীর কথায়, সন্তান জন্মের পর থেকে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত কোনওকিছু নিয়েই ওয়াকিবহাল ছিলেন না তিনি। স্বামী গৌরব ও শাশুড়িমা মিঠু চক্রবর্তী এবিষয়ে তাঁকে অনেকটাই সাপোর্ট দিয়েছেন। কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘হয়ত মা থাকলে বিষয়গুলি আমার কাছে আরও একটু সহজ হত। তবে বাড়ির সকলে এতটাই আগলে রেখেছিল যে কিছুই বুঝতে দেননি।’
প্রসঙ্গত, ছেলে ধীরের জন্মের অনেক আগেই নিজের মাকে হারিয়েছেন ঋদ্ধিমা ঘোষ। ২০২১-এর মে মাসে মা রিমা ঘোষকে হারান অভিনেত্রী। মাকে হারানোর প্রায় ১০ দিন পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা আবেগঘন পোস্টও করেছিলেন গৌরবপত্নী।
আরও পড়ুন-যেন অশ্বমেধের ঘোড়া! দেশব্যাপী কত আয় করল ‘বহুরূপী’? কোথায় দাঁড়িয়ে ‘টেক্কা’ ও ‘শাস্ত্রী’?
আরও পড়ুন-নীতিনের মৃত্যুতেও সুশান্ত কাণ্ডের ছায়া! কী কারণে এমন কঠিন পদক্ষেপ! কী বলছে মুম্বই পুলিশ?
সাক্ষাৎকারে ঋদ্ধিমা তাঁর এক কাছের মানুষের কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে বলেন, ‘আমায় যেদিন মা হাসপাতাল থেকে বাড়ি এনেছিলেন, সেদিন মায়াদি আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন আমাকে দেখার জন্য। আবার ধীরকে যেদিন বাড়ি আনলাম, সেদিনও মায়াদিই সঙ্গী।’ এছাড়াও অভিনেত্রীর কথায়, প্রথম দিন থেকে ছেলে ধীরকে খাওয়ানো, ডায়পার বদলানো, ঘুম পাড়ানো, সবেতেই স্বামী গৌরব দায়িত্ব সমানভাবে ভাগ করে নিয়েছেন। সন্তানই তাঁর আর স্বামী গৌরবের মধ্যে বন্ধন আরও শক্ত করেছে বলে জানান ঋদ্ধিমা। তবে ছেলে ধীর অন্যান্য অনেক বাচ্চার মতো তাঁদের মোটেও জ্বালাতন করনে না বলেই জানিয়েছেন ঋদ্ধিমা। এবিষয়ে নিজেকে ভাগ্যবান বলেই মনে করেন তিনি।
অভিনেত্রী জানান, দাদু ঠাকুমার পাশাপাশি, তাঁর বাবাও প্রতিদিন নাতির সঙ্গে খেলা করতে আসেন। গৌরবপত্নীর কথায়, ছেলের সঙ্গে মায়ের বন্ডিং দুর্দান্ত। মা-ই ধীরবাবুর সবচেয়ে প্রিয়। ছেলেকে নিয়ে ঋদ্ধিমার একটাই চাওয়া ‘ও যেমন খুশি জীবন উপভোগ করুক, তবে যেন ভালো মানুষ হয়। বড়দের সম্মান করতে যেন শেখে। আমি চাই ধীর ওর বাবা গৌরবের মতো হোক। (সত্যি বলছি মনে প্রাণে এটা চাই)’