গত দু'মাস ধরে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন 'অনুরাগের ছোঁয়া'র 'লাবণ্য' রূপাঞ্জনা। কারণ তাাঁর বিয়ে। গত ১৯ এপ্রিল ৬ বছরের ছোট রাতুল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন রূপাঞ্জনা মিত্র। তবে বিয়ের পর থেকে কাজের ব্যস্ততায় মধুচন্দ্রিমায় যাওয়া হয়নি রাতুল-রূপাঞ্জনার। অবশেষে একান্ত যাপনের ফুরসত মিলেছে।
বিয়ের ১ মাস পার করে ১৯ মে, রবিবার মধুচন্দ্রিমা কাটাতে উড়ে যাওয়ার আগে বিমানবন্দর থেকে ছবি পোস্ট করেছেন রূপাঞ্জনা মিত্র। এই যাত্রাতেও অভিনেত্রীর সঙ্গী তাঁর ছেলে রিয়ান। তবে বরের সঙ্গে একান্তযাপনে যাওয়ার আগে নিজের ভোল এক্কেবারেই বদলে ফেলেছেন অভিনেত্রী। লম্বা চুল কেটে এক্কেবারে ছোট করে ফেলেছেন। সঙ্গে চুলে সোনালি রংও করেছেন রূপাঞ্জনা। আর তাতেই তাঁকে দেখতে এক্কেবারেই অন্যরকম দেখাচ্ছে।
রূপাঞ্জনা মিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের বদলে যাওয়া রূপের ছবি পোস্ট করতেই শুরু ট্রোলিংয়ের বন্যা। নেটপাড়ায় নীতিপুলিশের অভাব নেই। আর তাই উঠে এসেছে নানান মন্তব্য। একজন লিখছেন, ‘যতই চুল কেটে ছোট করো, বুড়ি লাগছে, হাজব্যান্ড তো ইয়ং।’ কারোর কথায়, ‘ছোট চুলে এক্কেবারেই মানাচ্ছে না।’ কারোর মন্তব্য, ‘ইস কী খারাপই যে লাগছে!’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘বিয়ের ১ বছরের মধ্যে চুল কাটতে নেই, ভুলে গিয়েছেন! স্বামীর যদি অমঙ্গল হয়?’
তবে রূপাঞ্জনা অবশ্য এক্ষেত্রে তাঁর কিছু অনুরাগীদের পাশে পেয়েছেন। কেউ অভিনেত্রীর পক্ষে তলোয়ার ধরে লিখেছেন, ‘আজকালকার দিনেও এমন চিন্তাভাবনা! ওঁর অসুবিধা নেই, ওঁর স্বামীর সমস্যা নেই, তাহলে আপনার কোথায় সমস্যা?’
আরও পড়ুন-অনিবার্ণ-মধুরিমার ডিভোর্সের গুঞ্জনের মাঝেই তাঁদের দাম্পত্য নিয়ে সামনে এল গোপন তথ্য
রূপাঞ্জনা অবশ্য কোনওদিনই ট্রোলিংকে পাত্তা দেওয়ার পাত্রী নন। তিনি বরাবরই নিজের শর্তে বাঁচতেই ভালোবাসেন। তাঁর স্বামী বয়সের নিরিখে যতই তাঁর থেকে ৬ বছরের ছোট হোন না কেন, তিনি রাতুলের সঙ্গেই সুখী, ছেলে রিয়ানও এই বিয়েতে খুশি। তবে ট্রোলাররা মুখ বন্ধ করতে ছাড়েন না।
বিয়ের পরপরও তাঁকে 'বুড়ি' বলে কটাক্ষ করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে এর আগে রূপাঞ্জনা টিভি9কে সাফ জানিয়েছিলেন, ‘সিরিয়ালের চরিত্রে বুড়ি নই, আসল জীবনেও নই। এটা ওই লক প্রোফাইলের আড়াল থেকে ঈর্ষান্বিত মানুষের করা মন্তব্য। আসল জীবনে কিছু হতাশাগ্রস্ত মানুষই অন্যদের উস্কানি দেন। এদের আমি ব্লক করতেই পারতাম, কিন্তু করব না। কারণ যাঁরা ঘৃণা করেন তাঁরা সংখ্যায় কম। তবে বলব, খুব বেশি আমাদের নিয়ে ভাববেন না, তাতে নিজেরাই হতাশ হবেন। আর সেটা আমি চাই না, ভালো থাকবেন।’