উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে হাড়হিম করা ঘটনা। অভিনেত্রী স্বপ্না সিং এর কিশোর পুত্র সাগরের রহস্যমৃত্যু।সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে উদ্ধার, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান খুন হয়েছে স্বপ্না সিং-এর ১৪ বছরের ছেলে। আরও পড়ুন-‘যা বলছি তাই ফেসবুকে…’, দুর্গাপুরে গাইলেন হিন্দি গান, বাঙালির অপমানে গর্জে ওঠায় ইমনকে কুর্নিশ বাংলা পক্ষের
ছেলের ক্ষত-বিক্ষত দেহ উদ্ধারের পর মঙ্গলবার ৯০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে থানায় বিক্ষোভ দেখান অভিনেত্রী, পরে পুলিশের আশ্বাসে তা তুলে নেন। কয়েক ঘণ্টা পরেই সাগর গাঙ্গোয়ারের দুই প্রাপ্তবয়স্ক বন্ধু অনুজ ও সানিকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই মুহূর্তে অভিযুক্তরা রয়েছে পুলিশ হেফাজতে।
বরেলির ফতেপুরের সার্কেলের পুলিশ অফিসার আশুতোষ শিবম জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করতে না পারলেও বিষক্রিয়া বা ড্রাগ ওভারডোজের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ভিসেরার নমুনা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-সুনীল পালের পর, স্ত্রী-২ খ্যাত মুস্তাক খানকে দিল্লি-মিরাট হাইওয়ে থেকে অপহরণ, ১২ ঘণ্টা ধরে চলে ‘নির্যাতন’
ভুটা থানার ইন্সপেক্টর সুনীল কুমার বলেন, ‘অনুজ ও সানি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে যে তারা সাগরের সঙ্গে মাদক ও মদ সেবন করেছে। ওভারডোজের ফলে সাগর অসুস্থ হয়ে পড়ে। আতঙ্কিত হয়ে তারা তার লাশ টেনে হিঁচড়ে একটি মাঠে ফেলে পালিয়ে যায়’।
পুলিশ জানিয়েছে, অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সাগর বরেলির আনন্দ বিহার কলোনিতে তার মামা ওমপ্রকাশের সঙ্গে থাকত। গত রবিবার অর্থাৎ ৮ই ডিসেম্বর সকালে ইজ্জতনগর থানা এলাকার আদালাখিয়া গ্রামের কাছে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে ময়নাতদন্তের পর অজ্ঞাতপরিচয়ের মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছিল। বারাদারি পুলিশে ৭ ডিসেম্বর ওমপ্রকাশ বোনপোর নিখোঁজ হওয়ার মামলা দায়ের করেছিল। অজ্ঞাত পরিচয় লাশের সঙ্গে সাগের মিল পাওয়ার পরিবার দেহ সনাক্ত করে।
লাশ মেলার পর ঘটনাস্থলের কাছের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, অনুজ ও সানি সাগরকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। এর জেরেই তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, এবং পরে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনাটি সাগরের গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখায়, রাস্তা অবরোধ করে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের দাবি জানায়। 'ক্রাইম পেট্রোল' ও 'মাটি কি বান্নো' মতো মেগায় স্বপ্না সিং কাজ করেছেন। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে মঙ্গলবার মুম্বই থেকে ছুটে আসেন তিনি।
লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে ছেলের মৃত্যুর জন্য সুবিচার দাবি করেন। বিক্ষোভের পরে পুলিশ একটি হত্যার ধারা যুক্ত করে ভুটা থানায় নতুন এফআইআর দায়ের করেছে।