সোশ্যাল মিডিয়াই এখন তারকাদের কাছে অনুরাগীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার অন্যতম বড় মাধ্যম। সুযোগ পেলেই নিজেদের রোজনামচার ফোটো বা ভিডিও শেয়ার করেন। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে ফলোয়ারের সংখ্যা তবে, ভালোর পাশাপাশি খারাপও রয়েছে। প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং অথবা বডি শেমিংয়ের মুখোমুখি হন তারকারা। কেউ কেউ তো নোংরা, কুরুচিকর মন্তব্য করতেও পিছপা হন না। এরকমই পরিস্থিতির সম্মুখীন অভিনেত্রী সায়ন্তনী ঘোষ। যার ফলে রেগে আগুন অভিনেত্রী।
কয়েকদিন আগেই অভিনেত্রী সায়ন্তনী ঘোষ তাঁর ইনস্টাগ্রামে আপলোড করে প্রশ্ন-উত্তরের পর্ব৷ যেখানে যে কেউ সায়ন্তনীকে প্রশ্ন করতে পারেন৷ তাতেই একজন সায়ন্তনীকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনার ব্রা-য়ের সাইজ কত?’ ইনস্টায় এই প্রশ্ন দেখে রেগে যান অভিনেত্রী। উত্তরে লেখেন, ‘আগে আপনি আমাকে বলুন আপনার বুদ্ধির মাপ কত? আমার তো মনে হয় তা শূন্যও হবে না!’
এখানেই থেমে থাকেননি সায়ন্তনী। বডি শেমিংয়ের কড়া সমালোচনা করেছেন নিজের ইনস্টা অ্যাকাউন্টে। একটি পৃথক পোস্টে সায়ন্তনী লিখেছেন, ‘কিছুদিন আগেই আমাকে আমার ব্রা-এর সাইজ নিয়ে নোংরা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। যার যোগ্য জবাবও আমি দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে তাও কিছু কথা বলা বাকি থেকে গিয়েছে…’
সায়ন্তনীর কথায়, অনেক পুরুষই আছেন যারা জানতে চান মেয়েদের স্তনের মাপ। বাদ যান না নারীরাও! স্তন ছোট হোক বড়, তা নিয়ে চলে বডি শেমিং। সায়ন্তনীর কথায়, 'একসময় আমিও চুপ থেকেছি, যখন কোনও পুরুষ আমার স্তনের দিকে তাকিয়ে থেকেছে। কিন্তু অনেক হয়েছে। আমার মনে হয় মেয়েদের নিজেদের ভালোবাসার সময় এসেছে... বডি শেমিং করলে উচিত জবাব দিন, তা ছেলে হোক বা মেয়ে।'
সায়ন্তনী মনে করেন, বডি শেমিংয়ের কারনে অনেকেই নিজের শরীর নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগেন। কোনও পোশাক ট্রায়াল দেওয়ার সময় অনেকরই মাথাতেই আসে, ‘ইসস! যদি আমার স্তন আরেকটু ছোট বা বড় হত!’
২০০৬ সালে কেরিয়ার শুরু করেন সায়ন্তনী ঘোষ৷ টিভির পরদা থেকেই তাঁর কেরিয়ার শুরু৷ ‘কুমকুম এক প্যায়ারা সা বন্ধন’-এ নজর কাড়েন তিনি৷ এরপর ‘নাগিন’, ‘বনু ম্যায় তেরি দুলহন’, ‘মহাভারত’ ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে তাঁকে৷