নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আপাতত জলঘোলা চলছে অয়ন শীল আর তাঁর বান্ধবী বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীকে নিয়ে। গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে নেমেছিলেন শ্বেতা। আর বান্ধবীকে নিয়ে সিনেমা বানাতে টাকা খরচ করছিলেন অয়নও। হিন্দি ও বাংলায় কিছু শর্ট ফিল্মে অভিনয় করেছেন শ্বেতা। তবে এই ‘বিতর্কিত সুন্দরীর’ বড় কাজ কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি কবাডি কবাডি-তে। যেখানে তিনি মুখ্য চরিত্রে থাকা সোহিনী সরকারের বান্ধবীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। কেমন ছিলেন শ্বেতা সেটে, কাজের অভিজ্ঞতাই কা কেমন? মুখ খুললেন সোহিনী।
অয়নের গ্রেফতারের খবর শুনেই যেন মাথায় হাত সোহিনীর। বললেন, ‘ওকে তো অনেকদিন থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। ডাবিং-এর কাজও শেষ হয়নি। ২০২১ সালে করোনার সময় আমরা কাজ করেছি। অয়নের তো অফিসও বন্ধ ছিল। হায় ভগবান।’
আর শ্বেতা সম্পর্কে জানান বোলপুরে যখন শ্যুট হয় তখন তিনি মেকআপ ভ্যান শেয়ার করেছিলেন। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমার বান্ধবীর চরিত্রে অভিনয় করেছিল। মেকআপ ভ্যান শেয়ার করত আমার সঙ্গে। করোনার সময় ওর খুব সর্দিকাশি হচ্ছিল। সেই নিয়ে কথা হয়েছিল। এমনই সাধারণ মানুষের সঙ্গে যেমন কথা হয়। খুব অ্যাটিচিউডও নয়। যেমন হয় আর কী! তবে তুমি কীভাবে এলে অভিনয় করতে সেরকম কোনও কথা হয়নি। দুটো কি তিনটে সিনে কাজ ছিল আমাদের একসঙ্গে। তারপর যে যার মতো হোটেলে।’
সোহিনীর আফশোস এত ভালো একটা ছবি বন্ধ হয়ে গেল। ডাবিং বা এডিটিং-এর জন্য যে টাকা দরকার সেটা পাওয়া যায়নি বলেই বন্ধ হয়ে গেল। অভিনেত্রীর কথায়, ‘এর মধ্যে যে গণ্ডগোল আছে, অসততা আছে বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু এর থেকে বেশি কী বা বলা যাবে এখন!’
প্রসঙ্গত, এই সিনেমায় কাজ করেছেন ঋত্বিক চক্রবর্তীও। তিনিও জানিয়েছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছ থেকে অফার পেয়েই তিনি যান কাজে। আগে থেকে চিনতেন না অয়ন শীলকে। সেটে দু-একবার দেখেছেন। কথাও হয়েছে যৎসামান্য। কিন্তু কোথা থেকে প্রযোজক টাকা আনছেন তা বোঝা সম্ভব নয় একজন অভিনেতার পক্ষে। সঙ্গে জানান, তিনিও পুরো পারিশ্রমিক পাননি যেহেতু ডাবিং তখনও বাকি ছিল। অনেক কলাকুশলীদেও টাকা বাকি পড়ে আছে।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)