আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য তথা দেশ। অন্যদিকে, ঠিক এই সময়ই মালায়ালম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘদিন ধরে চলা মহিলাদের উপর যৌন নিগ্রহ নিয়ে সামনে এসেছে হেমা কমিটির রিপোর্ট। আর তাঁর আঁচ পড়েছে টলিপাড়াতেও। কারণ, বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও বহুদিন ধরে বহুবার যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটেছে, অভিযোগও উঠেছে। তবে তাতে আদপে শাস্তি পাননি দোষীরা। অনেকেই বলেন, টলিউডে একটা দিক যতটা উজ্জ্বল, আরেকদিক ততটাই অন্ধকার।
অনেকেই বলে থাকেন, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জীবন সংগ্রামও বেশ কঠিন। তাই এক এক সময় সুপারস্টারের তকমা পাওয়া অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরও হারিয়ে যেতে দেখা যায়। অনেকক্ষেত্রেই সেই অভিনেতা-অভিনেত্রীকেও অবসাদে ভুগতে দেখা গিয়েছে। আর এই কঠিন সময় পরিবারের পাশে থাকা ভীষণই জরুরী। কেউ পরিবারকে পাশে পেয়েছেন, কেউ বা পাননি। অনেক তারকাকেই অনেক সময় এবিষয়ে কথা বলতে শোনা গিয়েছে। একবার এবিষয়ে মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী সোনালী চৌধুরীও।
আরও পড়ুন-'উৎসবে ফিরছি না' বলেও 'টেক্কা'র প্রচার স্বস্তিকার, ভিডিয়ো পোস্ট করে কী বললেন তথাগত?
এক সাক্ষাৎকারে সোনালী চৌধুরী বলেছিলেন, 'ছোটবেলায় আমাকে আমার মা একটা কথা শিখিয়েছিলেন, যখন তোমার কাছের মানুষ তোমার পাশে নেই, দেখবে সারা পৃথিবী তোমার জন্য এমন পরিবেশ তৈরি করেছে, সেটা হয়তো আরেকটা মেয়ে পায় না, বা আরেকটা মানুষ পায় না। খুব ছোটবেলা থেকেই তাই ওই বিশ্বাসটা আমার মধ্যে রয়ে গিয়েছে। যদি আমার স্বামীও আমার পাশে না থাক, তাহলে হয়তো এমন কেউ আমায় বাইরে থেকে, কিংবা কাজের জায়গায় আমার পাশে থাকবে। বা তখন হয়তো কাছের মানুষেরা বিষয়টাকে অনেক সহজ করে দেবে। তাতে আমার বাড়ির সাপোর্ট না পাওয়ার কথাটা মনেই থাকবে না। সেই কারণে এই সাপোর্ট নিয়ে আমি কখনও ভাবিও না।'
অভিনেত্রী সোনালী চৌধুরী বরাবরই স্পষ্ট কথার মানুষ। কেরিয়ারে একাধিক ভালো কাজ তিনি উপহার দিয়েছেন। তবে আপাতত মা হওয়ার পর কাজ কমিয়ে মূলত জমিয়ে সংসার করছে সোনালী। ২০২২-এর নভেম্বরে সবথেকে কাছের মানুষ মা-কে হারান সোনালী চৌধুরী। মাকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছিলেন। তখনই কঠিন সময়ে পরিবারের পাশে থাকা, সাপোর্ট পাওয়া নিয়ে মুখ খুলেছিলেন সোনালী।