আরজি কর কাণ্ডে শুরু থেকেই প্রতিবাদের মুখ হয়েছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। ১৪ অগস্ট রাত দখলের পর ১৫ অগস্ট ফের আরজি কর হাসপাতালে যাঁরা প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শ্রীলেখা মিত্র। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য একাধিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন শ্রীলেখা। সাফ জানিয়ে দেন অনেকে ক্ষমতা এবং অর্থের কাছে বিকিয়ে গেলেও তিনি কোনও দিন বিকিয়ে যাবেন না। আর এবার আরজিকর নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের ভিডিয়ো পোস্ট সরাসরি প্রশ্ন তুললেন শ্রীলেখা মিত্র।
৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসের দিন মুখ্যমন্ত্রীকে মৃতার বাবা-মায়ের উদ্দেশ্যে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘মেয়ে কিন্তু আর ফিরে আসবে না। ওর নামে যদি আপনারা করতে চান, করতে পারেন, যা টাকা লাগবে আমি দেব। কেন ১০ লক্ষ টাকা তো দিতেই পারি পরিবারকে।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই ভিডিয়ো পোস্ট করে শ্রীলেখা লিখেছেন, ‘ওঁর কণ্ঠস্বরে এত্ত স্বর্ধা! মানুষের প্রাণের মূল্য ঠিক করার উনি কে? দয়া করছেন নাকি? আপনাকে মৃতার বাবা-মা ও আমাদের কাছে জবাবদিহি করতেই হবে। এবার আপনাকে আমরা এত সহজে ছেড়ে দেব না।’ নিজের এই পোস্টের হ্যাজট্যাগ, ‘Wewantjustice #rgkarmedicalcollege’ জুড়েছেন শ্রীলেখা মিত্র।
আরও পড়ুন-‘ছিঃ ছিঃ লজ্জা’! আর জি করে ডাক্তরকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রতিবাদ হল নিউ ইয়র্কের রাস্তাতেও
প্রসঙ্গত, শ্রীলেখা অবশ্য শুরু থেকেই আরজি করের ঘটনায় গলা চড়িয়েছেন। তিনি বরাবরই নির্ভিক।
১৪ অগস্ট রাত দখল কর্মসূচিতে নেমেও শ্রীলেখা মিত্রকে সরাসরি প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছিল শ্রীলেখা মিত্রকে। তিনি নবরস টকিজকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ' আরে ধনধান্যে পুষ্পে ভরা, আপনি ছাড়ুন তো দিদি। আপনি অনেক নাটক করেন। আপনি ওই সিরিয়ালে, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে সাদা পোশাক পরে চশমা পরে গিয়ে বসে থাকেন। অনেক নাটক করেছেন। আমি জানি এরপরে আপনারা আমার আরও খারাপ অবস্থা করবেন। এমনিতেই করেছেন। আরও করবেন আমি জানি। কিন্তু সবাইকে আপনি কিনতে পারেননি। আর তাঁদের মধ্যে একজন শ্রীলেখা মিত্র। সরি।'
শ্রীলেখার কথায়, 'এই যে কন্যাশ্রী প্রকল্পের যে টাকাটা দিচ্ছেন, এই যে ৮৫ হাজার টাকা ক্লাবে দিচ্ছেন মাটির দুর্গাপুজো করার জন্য আর এখানকার মেয়েরা, ওরা কেউ দুর্গা সেটা বলছি না, সাধারণ মেয়ে। সাধারণ মেয়ে একজন, তার কোনও নিরাপত্তা নেই। তার আরেকটা বাড়ি হল তার ওয়ার্ড যেখানে সে কাজ করছে সেখানে তার কোনও নিরাপত্তা নেই। আপনি কি কন্যাশ্রী করছেন? ওই টাকায় হাসপাতালগুলোকে উন্নত করুন না। আসল অপরাধীদের ধরুন না, নিজের দলের হলেও একটা উদাহরণ তৈরি করুন না।'