মাদার্স ডে-র দিন ফের উঠে এল বৃদ্ধাশ্রম-বিতর্ক! সন্তানের বৃদ্ধ মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসা, তাঁদের উপর অত্যাচার করার ঘটনা তো আমরা অহরহই শুনে থাকি। মাতৃদিবসে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই বিতর্কই উসকে দিলেন ‘পিলু’, ‘মিঠাই’-এর অভিনেতা সপ্তর্ষি রায়। আর তার জবাবেই একদম আলাদা পথে হেঁটে ‘বৃদ্ধাশ্রমে রাখলেই ছেলে-মেয়ে খারাপ কেন’ প্রশ্ন তুলতে দেখা গেল অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী।
রবিবার মাদার্স ডে-র দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা পোস্ট শেয়ার করেন সপ্তর্ষি। সেখানে লেখেন, ‘বলছিলাম, সবাই যদি মাকে এত ভালোবাসেন তাহলে বৃদ্ধাবাসগুলোতে কারা থাকেন?! তাঁদের ছেলেমেয়েরা বোধহয় কেউই এই ফেবুপাড়ায় নেই!!’
সপ্তর্ষির পোস্টে বেশিরভাগই যখন তাঁকে সমর্থন করছিলেন, তখন সুদীপ্তা বলে বসেন একদম উলটো কথা। সেই পোস্টের কমেন্ট সেকশনে গিয়ে মন্তব্য করেন, ‘বৃদ্ধাবাসের সঙ্গে মা-বাবাকে না ভালোবাসার কোন সম্পর্ক কিন্তু নেই । আজকের নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির দায়িত্ববান ছেলে-মেয়েরা বাবা-মাকে বৃদ্ধাবাসে রাখেন তাঁদের সুবিধার জন্যই। আমরা সারাদিন কাজের পিছনে ছুটব, টাকা রোজগার করব, বাচ্চা মানুষ করব, নানান দায়িত্ব পালন করব সারাদিন, আর মা-বাবা একা একা বাড়িতে বসে টিভি সিরিয়াল দেখে একাকিত্ব কাটানোর ব্যর্থ চেষ্টা করবেন, কোনও এমার্তেজেন্সিতে দায়িত্ববান কাউকে তক্ষুণি আশেপাশে পাবেন না... এমন অবস্থায় রেখে দেওয়ার চেয়ে অনেক স্বাস্থ্যকর হল সমবয়সী আরও অনেকগুলো মানুষের সঙ্গে অবসর জীবন কাটানো। দরকারে, মেডিক্যাল এমারজেন্সিতে পাশে সঠিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোকজন পাওয়া অনেক বেশি জরুরি।’
সুদীপ্তার কথা থেকে সাফ উঠে এল তাঁর বিশ্বাস শুধু মা-বাবাকে পাশে রাখলেই দায়িত্ব পালন হয় না। বরং, তাঁদের ভালো থাকার দায়িত্ব নেওয়াই বেশি জরুরি। নিজের বাড়ির একাকিত্বে সেই ভালো থাকা সম্ভব না হলে, বৃদ্ধাশ্রমে সমবয়সীদের সঙ্গে সাহচর্য পেলে তাঁরা ভালো থাকবেন। সেখানে তাঁদের শরীরের খেয়াল রাখার সঠিক লোকও তো থাকবে। যা হয়তো বাড়িতে ছেলে-মেয়ে কাজের চাপে সঠিকভাবে করে উঠতে পারেন না!
আপনাদের কি মত, মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানো নিয়ে?