আরজি কর কাণ্ডের পর শুরু থেকেই প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন অভিনেত্রী ঊষসী চক্রবর্তী। শুরু থেকেই রাস্তায় নেমে আম জনতার সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে প্রতিবাদ করেছেন। ফের একবার আরজি কর ইস্যুতে প্রতিবাদে মুখর টেলিপর্দার 'জুন আন্টি' ঊষসী। দেবীপক্ষের সূচনা লগ্নে, মহালয়ার দিন শহরবাসীর কিছু অংশ যেমন উৎসবে মাতোয়ারা, ঠিক তখনই নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলে হেঁটেছেন বহু মানুষ। সেই মিছিলে ছিলেন ঊষসীও।
সেই মিছিলে হাঁটারই একটুকরো ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ঊষসী চক্রবর্তী। যে ছবিতে ঊষসীর গায়ে জড়ানো ছিল একটা কালো পাড় সাদা শাড়ি। যাতে স্পষ্টভাবে লেখা, ‘মেরুদণ্ড বিক্রি নেই’। তবে এই ছবির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি প্রতিবাদে যোগ দেওয়া কিছু মানুষ যখন উৎসবে যোগ দিচ্ছেন, তখন তাঁদেরকেও সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের মুখে পড়তে হচ্ছে। সেবিষয়টিতেই নিজের মতামত তুলে ধরেছেন ঊষসী।
ঠিক কী লিখেছেন অভিনেত্রী?
'উৎসবে, মিছিলে , উপহারে' হেডলাইন দিয়ে ঊষসী লিখেছেন, ‘এবছর উৎসব আর প্রতিবাদ মিলেমিশে আছে। মানুষ উৎসবের মধ্যে প্রতিবাদ করছেন কেউ কেউ আবার প্রতিবাদের মধ্যেই উৎসব খুঁজে নিচ্ছেন। অনেকে যাঁরা প্রতিবাদে ভয় পান এমন একটা ভাব করছেন যেন প্রতিবাদ আর উৎসব দুটো বিপরীতার্থক শব্দ। একটা binary. Mutually exclusive - একটা করলে আর একটা করা যাবে না। এমন একটা ভাব যেন প্রতিবাদী আর উৎসবে অংশগ্রহণকারীরা একে অপরের শত্রু- যুযুধান দুই পক্ষ। এই ভাবে সাধারণ মানুষকে দু ভাগে ভেঙে দিলে হয়ত ওনাদের সুবিধা হচ্ছে- divide and rule করতে। কিন্তু আমরায় এই trap এ পা দেব না। এবার কলকাতায় বা বলা ভালো সারারাজ্যে প্রতিবাদ আর উৎসব মিলেমিশে থাকবে- সমার্থক শব্দ হয়ে। হাত ধরাধরি করে। আর আমরা দুটোতেই অংশ নেব।’
আরও পড়ুন-সায়ন্ত অতীত, ‘বন্ধন’ শুভ্রজিতের সঙ্গে বাগদান সারলেন ‘মাধবীলতা’ প্রিয়াঙ্কা, আইনি বিয়েও হল?
একই সঙ্গে ছবিতে নিজের গায়ে জড়ানো বিশেষ শাড়িটি প্রসঙ্গে ঊষসী লিখেছেন. 'এই প্রসঙ্গে একটা কথা আপনাদের সাথে share না করে থাকতে পারছি না। ছোট্ট মেয়ে সন্দীপা আমাদের জন্য একটি শাড়ি বানিয়েছে যার পাড়ে লেখা 'মেরুদন্ড বিক্রি নেই' । সন্দীপাকে আমি আগে চিনতাম না, দেখিনি কখনো। হঠাৎই মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে নিজে থেকে আলাপ করে ওর ডিজাইন করা শাড়িটি উপহার দিয়ে গেল। এবারের উৎসবের এটাই আমার প্রথম উপহার। একেবারেই অপ্রত্যাশিত। ঐই ভাবেই সবার কাছে উৎসব প্রতিবাদ সব মিলেমিশে যাচ্ছে। কোনো বাইনারি ই একে আলাদা করতে পারবে না। মিলিয়ে নেবেন।'
ঊষসী লিখেছেন, ‘সন্দীপার মত ছোট ছোট মেয়েরাই আমাদের inspiration . শাড়ির পাড়ে লেখা কথাগুলোর যেন আজীবন মর্যাদা রাখতে পারি।’ কর্ণকুন্তী সংবাদ থেকে লাইন তুলে সবশেষে লিখেছেন, ‘জয়লোভে যশোলোভে রাজ্যলোভে অয়ি। বীরের সদ্গতি হতে ভ্রষ্ট নাহি হই।’