অভিনেত্রী ও খ্যাতনামা ভরতনাট্যম নৃত্যশিল্পী সুধা চন্দ্রন সম্প্রতি তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সরাসরি সাহায্য চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে। একটি বিশেষ সিনিয়ার সিটিজন কার্ডের জন্য আবেদন করেন তিনি, যাতে তাঁর মতো মানুষদের ‘হয়রানি’ না হয়। এক দুর্ঘটানয় পা খুঁইয়েছেন সুধা। তবে, তারপরে নকল প্রস্থেটিক পা দিয়ে চালিয়ে গিয়েছেন নাচ, অভিনয়ও। যদিও পরে সিআইএসএফের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া হয় শিল্পীর কাছে
৫৬ বছর বয়সী অভিনেত্রী-নৃত্যশিল্পী ইনস্টাগ্রামে জানান বারবার বিমানবন্দরে CISF অফিসাররা তাঁকে প্রতিবার নকল পা খুলে দেখানোর কথা বলে। যা প্রচণ্ড কষ্টকর ও যন্ত্রণাদায়ক। অভিনেত্রী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘নমস্কার! সবাইকে শুভ সন্ধ্যা। এটা খুব ব্যক্তিগত একটা লেখা যা আমি জানাতে চাই আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় সরকারকে। আমি সুধা চন্দ্রন, পেশায় একজন অভিনেতা, নৃত্যশিল্পী, যে নকল মা নিয়ে নেচে ইতিহাস গড়েছে ও বিশ্বের দরবারে ভারতকে সম্মানিত করেছে।’
সুধা আরও বলেন, ‘কিন্তু কাজের সূত্রে আমি যখনই বিমান বন্দর হয়ে কোথাও যাই, থক নিরাপত্তারক্ষীরা আমাকে নকল পা খুলে দেখানোর কথা বলেন। আমি সিআইএসএফ অফিসারদের ETD (Explosive Trace Detector) দিয়ে স্ক্যান করে দেখার কথা বললেও তাঁরা রাজি হন না। মোদীজি এটা কি সত্যি সম্ভব? এটাই কি আমাদের দেশ? আমাদের সমাজে একজন মহিলা অপর মহিলাকে কি এই সম্মানই দেয়? আমার আপনার কাছে একান্ত অনুরোধ সিনিয়ার সিটিজনদের এমন কার্ড দিন, যা দেখাবে স্পষ্ট করে যে তাঁরা সিনিয়ার সিটিজেন।’ নিজের বার্তার সঙ্গে তিনি একটি ভিডিয়োও শেয়ার করেন।
সিআইএসএফের পক্ষ থেকে একটি টুইট করা হয় শুক্রবার। যেখানে লেখা হয়, ‘আমরা সুধা চন্দ্রনের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী তাঁকে অসুবিধে দেওয়ার জন্য। নিয়ম অনুযায়ী, নিরাপত্তার খাতিরে প্রস্থেটিক খুলতে বলা হয বিশেষজ্ঞের উপস্থিতিতে। আমরা খতিয়ে দেখব ওই মহিলা কেন সুধা চন্দ্রনকে তাঁর প্রস্থেটিক খুলতে বলে। আমরা আমাদের সমস্ত সদস্যকে জানিয়ে রাখব নিয়ম, যাতে ভবিষ্যতে কারও কোনও সমস্যা না হয়।’
সুধা চন্দ্রনের পোস্ট শেয়ার করেন অভিনেতা করণবীর বোহরা। লেখেন, ‘আমি আপনার কথার সঙ্গে একমত। এসব ক্ষেত্রে একটু সুবিধে দেওয়া উচিত।’
‘কাহি কিসি রোজ’ ও ‘নাগিন’ ধারাবাহিকের সব ক'টি পার্টে দেখা গিয়েছে সুধাকে। তেলেগু ছবি ‘ময়ূরী’র জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন অভিনেত্রী, যা তৈরি হয়েছিল তাঁর জীবনের ওপরেই।