যখন মিউজিক রিয়েলিটি শো সঞ্চালনার প্রস্তাব পেয়ে এ পথে হাঁটা শুরু করেছিলেন,একবারের জন্যও ভাবেননি ছোটপর্দায় সঞ্চালক হিসেবে এতটা সফল হবেন আদিত্য নারায়ণ। স্রেফ ওই প্রস্তাব ভালো লেগেছিল বলে একবার সাড়া দিতে দিয়েছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তাঁর দাবি,' ঘুনাক্ষরেও ভাবিনি এতটা বিখ্যাত হয়ে যাব এইসব রিয়েলিটি শোয়ের সঞ্চালনা করার দৌলতে যে মেয়েরা দেখলেই চুমু খেতে আসবে আমাকে!'
২০০৭ সালে ছোটপর্দায় মিউজিক রিয়েলিটি শো 'সা রে গা মা পা-র সঞ্চালনা দিয়ে ছোটপর্দায় ডেবিউ সেরেছিলেন আদিত্য। এরপর 'ইন্ডিয়ান আইডল' এর ১১ এবং ১২ নম্বর সিজনেরও সঞ্চালনার দায়িত্ব সেরেছেন তিনি। 'ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস'-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই গায়ক-সঞ্চালক জানিয়েছেন ২০০৭ সালে লন্ডন থেকে ফেরার পর 'সা রে গা মা পা'-র সঞ্চালকের প্রস্তাব পাওয়াতে তিনি ভেবেছিলেন যেহেতু তাঁরও বড় হয়ে ওঠা সঙ্গীতের পরিবেশের মধ্যেই তাই এই মিউজিক রিয়েলিটি শো করাই যায়। সেই শোয়ের পরপরই রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান 'উদিত-পুত্র'। তাঁর কথায়, 'প্রচুর টিভি শোয়ের প্রস্তাব আসা শুরু করে। এমনকি সিনেমারও, তবু তাতে ভেসে যাইনি। এরপর বিক্রম ভাটের পরিচালনায় 'শাপিত' ছবিতে অভিনয়ও করলাম। কারণ সেই ছবির সবকটা গান আমিই গেয়েছিলাম। অভিনয় করেছিলাম একমাত্র গান গাওয়ার সুযোগ পাব বলেই। অবশ্য শাপিত বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ার পর আমাকেও যথেষ্ট কঠিন সময়ের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। ছবিতে অভিনয় করা তো দূরের কথা, মঞ্চে গান গাওয়ার প্রস্তাব পাওয়াও বন্ধ হয়ে গেল।'
সামান্য থেমে আদিত্য আরও বলেন,' সঞ্জয় লীলা বনশালির সুরে 'রাম লীলা' ছবিতে রণবীরের লিপে দু' দুটি হিট গান উপহার দেওয়ার পরেও ছবিটা পাল্টায়নি। কোনও কাজ পেতাম না। বিশাল-শেখর এবং এ আর রহমান পর্যন্ত আমাকে দিয়ে গাইয়েছেন,তারপরেও... এখন এই রিয়েলিটি শো হোস্ট করে করে এতটা জনপ্রিয় হয়েছি যে আমায় দেখলে মেয়েরা চুমু খেতে ছুটে আসে অথচ ছবিতে গান গাওয়ার সুযোগ পাই না!'
নিজের বক্তব্য শেষে তাঁর সংযোজন, 'আর রিয়েলিটি শোয়ের সঞ্চালনা করছি না পরের বছর থেকে। আরও অনেক বড় কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে। দেখা যাক। আমাকে সোনাচালনা করতে দেখে দেখে দর্শক ভুলে গেছেন যে আমিও আদতে একজন গায়ক। গানই আমার প্রথম ভালোবাসা। তাই আর না!'