মুছে দিয়েছেন সমস্ত ইনস্টাগ্রাম পোস্ট। নতুন শুরুর ইঙ্গিত দিলেন উদিত নারায়ণ পুত্র আদিত্য। তাঁর কথায়, তাঁর কাছে ‘এটা একটি জীবনের সমাপ্তি এবং একটি নতুন শুরুর মতো’। তাঁর কথায়, ‘আগা যাঁকে দেখেছেন, ও পুরনো আদিত্য, এবার নতুন আদিত্যকে দেখবেন। এতদিন আমার ইমজে একজন টিভি শো সঞ্চালক-এর মতো হয়ে গিয়েছিল, এই সময়কাল এবার শেষ হচ্ছে।’ আদিত্যর কথায়, এতদিন শুধু অর্থ উপার্জনের জন্যই সঞ্চালনা করেছেন।
আদিত্য বলেন, 'আমাদের একটা বিশাল সংখ্যক শ্রোতা রয়েছে। একটি ভিডিও বা একটি গান এর জন্য যথেষ্ট নয়। সেই শ্রোতাদের কাছে পৌঁছতে হলে আপনাকে কৌশলী হতে হবে। আর এর জন্য টাকার দরকার প্রয়োজন। আমি যে ধরনের গানে অনুরণিত হই তা তৈরি করতে আমি কারোর উপর নির্ভরশীল হতে চাইনি। তবে শেষ পর্যন্ত, আমি যে টাকা আয় করেছি তাতে অন্তত তিনটি অ্যালবাম টিকিয়ে রাখতে পারি। যদিও আমি এতে খুশি। তবে এখানে পৌঁছাতে, আমার ৩টি অ্যালবামের অর্থ জোগাড় করতে এবং সবকিছু করতে আমার ৩৪ বছর লেগেছে।
আদিত্য নারায়ণের কথায়, ‘এভাবে অর্থ উপার্জনের আরও একটি কারণ হল, কীভাবে এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ হয় সেটা দেখতে চেয়েছিলাম। তবে এভাবে আমি উন্নতি করতে পারিনি। কারণ, প্রত্যেকের দরজা দরজায় গিয়ে কড়া নাডতে পারিনি, বলতে পারিনি যে আমায় গান দিন, আমি ভালো গাই।’ তাঁর কথায়, ‘আমি টাকা উপার্জন করেছি, যাতে আম প্রযোজক হিসাবেও কাজ করতে পারি। এভাবে, আমি কারও কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য নই। আমি যদি সফল হই, তবে আমি এর গৌরব ভোগ করব, যদি আমি ব্যর্থ হই, তবে আমি ক্ষতি বহন করব। আমি ছাড়া অন্য কেউ প্রভাবিত হবে না’।
আদিত্য নারায়ণ বলেন, ‘আমি একজন সফল সঙ্গীতশিল্পীর পরিবারে জন্ম নিয়েছি। তাই টাকার অভাব হওয়া উচিত ছিল না। কিন্তু আমি আমার বাবাকে কষ্ট করতে দেখেছি। সেখান থেকেই শিখেছি, শিল্পে নিজেই পরিশ্রম করে নিজের জায়গা তৈরি করতে হয়। নিজের অর্থ নিজে উপার্জন করতে হয়। আমার বাবা যখন পরিচিতি পাচ্ছেন, তখনই আমার জন্ম হয়েছিল। তাই ধীরে ধীরে বাবাকে সাফল্য় পেতে দেখেছি। তখন এক কামরার ফ্ল্যাটে থাকতাম। বসবার ঘরে একটা সোফা ছিল, তাতেই ৭ বছর ঘুমিয়েছি।
আদিত্য বলেন, ‘আমি পরিশ্রম এবং অর্থকে মূল্য দিই। দেখেছি বাবা কীভাবে কষ্ট করেছেন, তাই বাবার টাকাকে কখনওই নিজের মনে করিনি। কেনই বা আমি ওঁর উপর নির্ভরশীল হওয়ার কথা ভাবব।’