আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্ত, বাংলা ইন্ডাস্ট্রির এমন একজন পরিচালক যিনি সব সময় অন্য ধাঁচের সিনেমা তৈরি করতেই পছন্দ করেন। ২০১৪ সালে প্রায় শব্দহীন চলচ্চিত্র আসা-যাওয়ার মাঝে পরিচালনা করে শ্রেষ্ঠ নবাগত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং আন্তর্জাতিক উৎসবে একগুচ্ছ পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি।
২০১৮ সালে জোনাকি নামের আরও একটি সিনেমা মুক্তি দেন তিনি, যে সিনেমায় মানুষের প্রতিদিনের গল্প জড়িয়ে ছিল। এবার পালা মায়ানগরের। শ্রীলেখা মিত্র এবং ব্রাত্য বসু অভিনীত এই সিনেমাটির ২০২১ সালে ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রিমিয়ার হয়েছিল। ২০২১ থেকে ২০২৫, বড়পর্দায় মুক্তি পেতে প্রায় পাঁচ বছর কেন লাগল? কী বললেন পরিচালক?
আরও পড়ুন: 'আমার কালেকশন কেন জানাব? টিকে আছে, হাল ছাড়েনি', ৫০ দিন পার, ৫ নং স্বপ্নময় লেন নিয়ে মানসী
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উত্তেজনায় ঘৃতাহুতি! 'জিতো বাজি খেলকে' গাইলেন আতিফ আসলাম
সম্প্রতি হিন্দুস্থান টাইমসের সঙ্গে সাক্ষাতকার দিতে গিয়ে পরিচালক বলেন, ওই সময়টা করোনা হওয়ার কারণে সিনেমা মুক্তি অনেকটা পিছিয়ে যায়। এরপরে আরো কিছুটা সময় চলে যায় সিনেমাটির অপারেশনাল স্বত্ব ফিরে পেতে। প্রায় ৪ বছর পর অবশেষে বড় পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে মায়ানগর।
পরিচালক বলেন, এই সিনেমাটি ছোট থেকে বড় সকলের ভালো লাগবে। এই সিনেমার গল্পটা এমন একটি দৃষ্টিকোণ থেকে তৈরি করা হয়েছে, যা প্রত্যেকটি মানুষ নিজের জীবনের সঙ্গে মেলাতে পারবেন। কলকাতার সায়েন্স সিটির সামনে যখন ডাইনোসরের মূর্তিটি প্রথম দেখেছিলাম, তখনই সিনেমাটি তৈরি করার কথা মাথায় এসেছিল। অতীত এবং বর্তমানের সংযোগস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ব্যক্তির চোখে গোটা শহরটির ছবি তুলে ধরেছি এই সিনেমায়।
আদিত্য বলেন, আমি চাই প্রত্যেকটা মানুষ সিনেমাটি দেখুন। দৈনন্দিন জীবনে যা যা ঘটে, একটা মানুষের জীবনে কি কি পরিবর্তন আসে সবটাই এই সিনেমায় দেখানো হয়েছে। প্রত্যেক শিল্পীই অসাধারণ কাজ করেছেন। আমার মনে হয় না এর আগে কেউ বাংলা সিনেমা কোনও শিল্পীকে এই পরিপূর্ণতার স্তরে অভিনয় করতে দেখেছেন।
আরও পড়ুন: সারেগামাপা ২০২৪-এর যুগ্ম বিজেতার নাম ফাঁস! এদিকে পার্টি মুডে আরাত্রিকা-দেয়াশিনীরা, সামনে এল ছবি
সত্যজিৎ রায়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সত্যজিৎ রায়ের মহানগর এবং মায়ানগর নামটির মধ্যে অনেক মিল আছে। উনি আমার আইডল। তবে আমার সব সিনেমায় মানুষের জীবনের কোনও না কোনও গল্প বলা হয়েছে। আমি ছোট থেকেই বাধাহীনভাবে বড় হয়েছি, সবার সঙ্গে মিশেছি, মানুষের জীবনের সেই ছোট ছোট মুহূর্ত বারবার তুলে ধরার চেষ্টা করেছি সিনেমার মধ্যে।