দীর্ঘদিন ধরেই ভারতে বাস করছেন আদনান সামি। ২০১৬ সালে মোদী সরকার আদনানকে এদেশের নাগিরকত্ব প্রদান করেছেন। ঝুলিতে এসেছে পদ্মশ্রী সম্মানও। তবে জন্মসূত্রে আদনান সামি পাকিস্তানি, শুধু তাই নয়, তাঁর বাবা পাক আর্মির সদস্য হিসাবে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই পর্যন্ত করেছেন। সীমান্তের দুই পারে আদনানের গুণমুগ্ধ ভক্ত সংখ্যার কমতি নেই। তবে সমালোচনার মুখেও কম পড়তে হয় না তাঁকে। বিশেষত, পাকিস্তানের একটা বড় অংশ ‘বেইমান’ তকমা দেগে দিয়েছেন আদনানের নামের পাশে।
জন্মভূমির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে ‘টাকার লোভে’ ভারতে পড়ে আসেন এমন কটাক্ষে হামেশাই জেরবার হন অভিনেত্রী। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে এই বিদ্রুপের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন ‘কভি তো নজর মিলাও’ গায়ক। নিজেদের ভ্রান্ত ধারণা আদনানের উপর চাপিয়ে দেওয়ায় বিরক্ত গায়ক। তিনি বলেন, ‘কী! আপনাদের কি যৎ সামান্য ধারণা রয়েছে আমার পরিবার সম্পর্কে? জানেন কি জীবনে টাকাকে আমি কখনও গুরুত্ব দিইনি। আমি বিশাল ধনী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলাম, এর জন্য আমি উপরওয়ালার আশীর্বাদ ধন্য। আমি অনেক কিছু ছেড়ে এসেছি… পৈতৃক সম্পত্তি হিসাবে আমি অনেক কিছু পেতে পারতাম কিন্তু কিন্তু সবটাই দান করে এসেছি’।
টাকা পয়সার লোভ নয়, আদনানের ভারতে থাকবার একমাত্র কারণ ভারতের প্রতি ভালোবাসা এবং এই দেশকটাকে ‘ঘরের মতো লাগে’। আদনান বলেন, ‘যে ধরণের ভালোবাসা আর বাহবা আমি এই দেশে পেয়েছি তা ভাষায় বুঝিয়ে বলা যাবে না, শিল্পী হিসাবে আমি কৃতজ্ঞ’।
‘তেরা চেহরা’ খ্যাত গায়ক বলেন, দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েন জারি থাকায় সবক্ষেত্রেই একটা প্রতিযোগিতা পূর্ণ পরিবেশ বিরাজকরে। আর সেই জাঁতাকলে পিষে মরতে হয় শিল্পীদের। আদনান বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে কিছু রাজনৈতিক টানাপোড়েন রয়েছে। কিন্তু সেটা রাজনৈতিক ব্যাপার, আমার কোনও যোগ নেই রাজনীতির, আমি তো সঙ্গীতশিল্পী।’
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে আদনান সামিকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ১৮ বছরের চেষ্টায় ভারতের নাগরিকত্ব পয়েছেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘আমি দু-বার আবেদন জানিয়ে ব্যর্থ হই। ভারতের নাগরিকত্ব পেতে আমার প্রকৃত নাগরিকত্ব ত্যাগ করি। দেড় বছর সময় ধরে আমার কোনও দেশ ছিল না।’