অরুণাভ রাহারায়: চলে গেলেন চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার। তাঁর প্রায়াণে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের অপূরণীয় ক্ষতি। সারা বিশ্বের সিনে দুনিয়ার মানুষ তাঁর ছবি ভালোবেসেছিলেন। আজীবন বামপন্থী ভাবধারায় বিশ্বাসী ছিলেন তিনি। যে কোনও পরিস্থিতিতে তিনি তাঁর আদর্শ থেকে টলে যাননি। আজ শোকের ছায়া চলচ্চিত্র পরিবারে। বাংলার পাশাপাশি ভারতের নানা দিক থেকে তরুণ মজুমদারকে নিয়ে শোকবার্তা উঠে আসছে।
ভারতীয় ফিল্ম দুনিয়ার সুপরিচিত পরিচালক আদুর গোপালকৃষ্ণন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, "তরুণ মজুমদার একজন মেধাবী পরিচালক। তিনি আমার উপদেশদাতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। আমার খুব কাছের মানুষ ছিলেন তিনি। আমারা একসঙ্গে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি। তাঁর সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি। তরুণ মজুমদারের উপদেশ আমার ছবিতে নানা সময় কাজে লেগেছে। তিনি খুব নির্মল মনের অধিকারী ছিলেন। তাঁর প্রয়াণ আমাদের সকলের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। পরোপারে ভালো থাকুন তরুণ মজুমদার।"
গত ২ মে সত্যজিৎ রায়ের জন্মবার্ষিকীতে কলকাতায় এসেছিলেন পরিচালক আদুর গোপালকৃষ্ণন। কলামন্দিরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তরুণ মজুমদার। গতকাল ছিল আদুর গোপালকৃষ্ণনের জন্মদিন। ঠিক একদিন বাদেই এমন একটি দুঃসংবাদে বিমূঢ় হয়ে আছেন আদুর।
তরুণ মজুমদারের জন্ম ১৯৩১ সালে অধুনা বাংলাদেশের বগুড়ায়। বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। পলাতক, নিমন্ত্রণ, সংসার সীমান্তে, আলো, চাঁদের বাড়ি, ভালোবাসার বাড়ি-সহ একাধিক ছবি পরিচালনা করেছেন। ১৯৯০ সালে পদ্মশ্রী সম্মান পান। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বহু মানুষ।