বিয়ের পর এখনও মাস ঘোরেনি। নতুন ছবির কাজে এবার মন দিয়েছেন আদৃত। নিজের ঢাক নিজে পেটানোয় বিশ্বাসী নন উচ্ছেবাবু। বিয়ে নিয়ে বাড়াবাড়ি ছিল না-পসন্দ। তাই মনের মানুষ কৌশাম্বির সঙ্গে বিয়ে নিয়ে সংবাদমাধ্য়মের সামনে মুখ খোলেননি। তবে জন্মদিনে কোনওরকম রাখঢাক রাখেননি। আরও পড়ুন-‘কৌশাম্বি আমার চেয়ে অনেক সিনিয়র’, বয়সে ছোট বউয়ের থেকে কোন মামলায় পিছিয়ে আদৃত?
আদৃত-কৌশাম্বির সম্পর্কে শুরু থেকেই সায় ছিল দুই পরিবারের। আদৃতের প্রথম বিয়ে ঠিক হয়েও শেষ মুহূর্তে ভেঙে যায়। আদৃতের প্রাক্তন প্রেমিকা সুপ্রিয়াও খুব কাছের ছিলেন আদৃতের বাবা-মা'র। এখন কৌশাম্বি হয়ে উঠেছেন রায় পরিবারের 'ঘরের মেয়ে'। বউমার হাতের রান্নার প্রশংসায় পঞ্চমুখ আদৃতের বাবা। অন্যদিকে শ্বশুরমশাইকে নিয়ে মুখ খুলেছেন আদৃতও।
শ্বশুরবাড়িতে প্রচুর জামাই আদর পাচ্ছেন মেনে নেন আদৃত। টলি ফ্যাক্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ‘আমি কৌশাম্বির বাবার খুব ভক্ত। উনি দুর্দান্ত আবৃত্তি করেন, কৌশাম্বি ওর বাবার থেকেই সেই গুণটা পেয়েছে। কৌশাম্বি ভালো করে, কিন্তু ওর বাবা অসাধারণ। যতটা সময় পারি আমরা একসঙ্গে কাটানোর চেষ্টা করি।’ খুব সহজেই সকলকে আপন করে নেন কৌশাম্বির বাবা, কৌস্তভ চক্রবর্তী এমনটাই মত তাঁর জামাই বাবাজীবনের।
বছর দুয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিঠাই ভক্তদের ‘পাগলা’ বলে ট্রোলের শিকার হয়েছিলেন কৌশাম্বির বাবা। আদৃত তথা সিদ্ধার্থ মোদককে বউয়ের (মিঠাই) সঙ্গে খারাপ আচরণের জন্য প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করছিল সকলে। সেই নিয়েই শুরু হয় ঝামেলা। হবু জামাইকে ডিফেন্ড করতে গিয়ে ওই শব্দ ব্যবহার করে ফেলেন তিনি। পরে অবশ্য ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর প্রোফাইল হ্যাক করা হয়েছিল।
অন্যদিকে নিজের বাবার সঙ্গে কৌশাম্বির সম্পর্ক নিয়ে আদৃত বলেছেন, ‘ও আগে আমার কাছে স্পেশাল ছিল, এখান আমার পুরো পরিবারের কাছে খুব স্পেশাল। ও আসলে আবার বাবার খুব কাছের। হয়ত আমি বাইরে গিয়ে কিছু নিতে ভুলে গেলাম, ও কিন্তু মনে করে সেটা নিয়ে আসে'।
অভিনেত্রী কৌশাম্বির প্রশংসায় পঞ্চমুখ আদৃত। বউকে নিয়ে বললেন, ‘ও খুব ডেডিকেটেড। কৌশাম্বি অনেকদিন ধরে কাজ করছে, আমি সেই তুলনায় অনেক নতুন। কাজের মামলায় কৌশাম্বি আমার চেয়ে অনেক সিনিয়র, অনেক অভিজ্ঞ। আমার চেয়ে অনেক ভালো অভিনেতা। আমি ওর থেকে রোজ শিখি। ওকে সবসময় বলি যদি ভুল করি, তাহলে ধরিয়ে দিতে।’