রবিবার সকাল থেকেই রাজ চক্রবর্তীর কসবার অফিসে জোর তোড়জোর শুরু হয়েছে বাগ্দেবীর আরাধনাকে ঘিরে। মা সরস্বতীর সাদা সাজ তাক লাগানো। পুজোর মধ্যমণি অবশ্যই তারকা দম্পতি, আর তাঁদের রাজ-পুত্র। এদিন নীল পোশাকে রং মিলান্তি মিয়া-বিরি। আসমানি নীল শাড়িতে সেজেছেন রাজ ঘরণী। নীল পাঞ্জাবি আর ধুতিতে বাঙালি বাবু রাজ। ইয়ালিনির অবশ্য দেখা মেলেনি। আরও পড়ুন-সম্পর্কে বারবার ঠকেছেন, বাঙালির প্রেমদিবসেই ৪র্থ বিবাহবার্ষিকী, বরের আদর মাখলেন ইমন
এদিন রাজের অফিসে যেন চাঁদের হাট। ফিল্ম থেকে টেলিভিশনের পরিচিত মুখেরা সকলেই হাজির। এমনিতে খুব বেশি সামাজিক অনুষ্ঠানে দেখা মেলে না আদৃতের। তবে বিয়ের পর প্রথম সরস্বতী পুজো, এদিন মেন্টর রাজ চক্রবর্তীর আমন্ত্রণে হাজির হয়েছিলেন আদৃত। কেরিয়ারের গোড়া থেকেই (অভিনয়ে আসার আগে) প্রতিবছর রাজের সরস্বতী পুজোয় অংশ নেন আদৃত। সেই সময় অবশ্য পাশে থাকতেন সুপ্রিয়া।
এদিন কৌশাম্বির হাত ধরে পুজোয় হাজির আদৃত। রাজ চক্রবর্তী প্রোডাকশনই ছবিতে লঞ্চ করেছিল আদৃতকে। এদিন সাদা পাঞ্জাবিতে দেখা মিলল আদৃতের। কৌশাম্বি সেজেছিলেন সবুজ-গোলাপি হ্যান্ডলুমের শাড়িতে। এই মুহূর্তে মিত্তির বাড়িতে দেখা যাচ্ছে আদৃতকে। অন্যদিকে কৌশাম্বি অভিনয় করছেন ফুলকি ধারাবাহিকে।
এদিন পৌঁছেছিলেন সস্ত্রীক আবির চট্টোপাধ্যায়, উষশী রায়, সুস্মিত মুখোপাধ্যায়, ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, সৌরসেনী, কৌশানি মুখোপাধ্যায়রা। ২০১০ সাল থেকে রাজ চক্রবর্তী সরস্বতী পুজোর আয়োজন করে আসছেন।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ বলেন, ‘আমাদের জন্য রোজই ভ্যালেন্টাইন্স ডে। ছোটবেলায় আলাদা করে দিন থাকত।’ বউয়ের রূপেও মুগ্ধ পরিচালক। এই বছর পোশাকে রং মিলান্তি ধরা পড়লেও গোটাটাই নাকি কাকতালীয়।
রাজ-শুভশ্রীর সরস্বতী পুজোর ভোগ কিন্তু বেজায় স্পেশ্যাল। অন্যবারের মতো এই বছরও অতিথিরা চেটেপুটে খেলেন ভোগ। মেনুতে কী কী ছিল? কড়াইশুঁটির কচুরি, আলুর দম, ছোলার ডাল, খিচুড়ি, লাবড়া, বাঁধাকপির তরকারি, বেগুনি, চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টি আর পায়েস। সব মিলিয়ে দেদার খানাপিনা, হই-হুল্লোড়ে জমে উঠেছিল রাজ-শুভশ্রীর বাগদেবীর আরাধনা। ডায়েট ভুলে এদিন ভোগের মেনুতে কামড় বসালেন সকলেই। বাঙালির পুজো নামেই পেটপুজো তা ভালোভাবেই জানেন রাজ-শুভশ্রী।
প্রসঙ্গত, শুভশ্রীকে আগামিতে দেখা যাবে ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তর একটি ছবিতে। যেখানে থাকছেন জিতু কমল। এছাড়াও সৃজিতের বিনোদিনী হিসাবে দেখা মিলবে তাঁর। ছবির নাম লহ গৌরাঙ্গের নাম রে।