২০১২ সালে প্রযোজক সিদ্ধার্থ রায় কাপুরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন বিদ্যা। এতদিন পর অভিনেত্রী ফাঁস করলেন কীভাবে দম্পত্য সম্পর্ককে অটুট রেখেছেন তিনি। বিদ্যার কথায়, অনেকেই নিজেদের সঙ্গীকে বিয়ের পর ‘টেকেন ফর গ্রান্টেড’ হিসেবে ধরে নেন। যা ‘ভয়ঙ্কর’ একটা জিনিস। অভিনেত্রী মনে করেন, এমনটা ঘটতে থাকলেই দাম্পত্য সম্পর্কের মধ্যে থেকে আগ্রহ ও সুখ-শান্তি বিদায় নেয়।
ইকোনমিক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিদ্যা জানিয়েছেন, ‘বিয়ের অর্থ তুমি এমন একজন মানুষের সঙ্গে সহবাস করছ যাঁর সঙ্গে ছোটবেলা থেকে তুমি বড় হওনি। তাই এই সম্পর্কে কোনও মানুষকে টেকেন ফর গ্রান্টেড হিসেবে নেওয়া সহজ হয়ে পড়ে, এটাই সব থেকে ভয়ঙ্কর জিনিস। এই কারণেই বিয়ের সেই চমকটা চলে যায়’।
উল্লেখ্য, বিদ্যার এটি প্রথম বিয়ে হলেও, সিদ্ধার্থ রায় কাপুরের তৃতীয় স্ত্রী নায়িকা। ছেলেবেলার বান্ধবী আরতি বজাজের সঙ্গে প্রথমে বিয়ে করেছিলেন এই বলি প্রযোজক, সেই বিয়ে ভাঙলে কবিতাকে বিয়ে করেন সিদ্ধার্থ। বেশিদিন টেকেনি সিদ্ধার্থ রয় কাপুরের দ্বিতীয় বিয়ে। ২০১১ সালে আরতিকে ডিভোর্স দেওয়ার পরের বছর বিদ্যা বালানের সঙ্গে ঘর বাঁধেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘এই আট বছরে আমি আবিষ্কার করেছি প্রচেষ্টা মানুষকে সফল করে। যদি আপনি সেখান থেকে পিছলে পড়েন সেটা কখনোই আনন্দদায়ক নয়, কেবল সাংসারিক বিষয় হয়েই থেকে যায়। আমি বিয়ের বন্ধনকে আরও দৃঢ় এবং এক্সাইটিং করে তুলতে যা যা করার প্রয়োজন সেই সমস্ত কিছু করে আনন্দ পাই’।
গত বছর ‘নাটখাট’ নামে একটি শর্ট ফিল্মে দেখা গিয়েছিল বিদ্যাকে। ছবিটি নিজেই প্রযোজনা করেছিলেন অভিনেত্রী। ২০২০ সালে অনু মেননের ছবি ‘শকুন্তলা দেবী’ দিয়ে ডিজিটাল ডেবিউ হয় বিদ্যার।
আগামীতে পরিচালক অমিত মাসুকারের ‘শেরনী’ ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যাবে বিদ্যাকে। ছবিতে বন আধিকারিকের ভূমিকায় অভিনয় করছেন অভিনেত্রী।