ফেসবুক,ইউটিউবের সুবাদে বাংলার ঘরে ঘরে আগেই পৌঁছে গিয়েছে নরেন্দ্রপুরের ‘ওয়ান্ডার কিড’ হৃদিস্রোতা মন্ডল। তাঁর আদুরে গলায় মন্ত্রমুগ্ধ দর্শক, চলতি বছর সারেগামাপা-র মঞ্চে পৌঁছেও সবার মন জিতে নিচ্ছে হৃদিস্রোতা। গ্র্যান্ড অডিশন পর্বে ‘হেমন্ত দাদু’র গান গেয়ে সকলের মন চুরি করেছিল ছোট্ট চিনা (হৃদিস্রোতার ডাকনাম), আর এবার কিশোর কুমারের গান গাইতে শোনা যাবে তাঁকে।
সারেগামাপা-র গ্র্যান্ড প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হবে চলতি সপ্তাহান্তে। সেই প্রোমো ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। প্রথম প্রোমোয় দেখা গেল মাইক হাতে মঞ্চে ‘আ চলকে তুঝে লেকে চলুঁ’ গানটি গাইছে হৃদিস্রোতা।
সাদা-কালো জমানার ছবি ‘দূর গগনকি ছায়ো মে’র গান গাইছে জেন ওয়াই। এই দৃশ্য দেখেই মন ভরেছে নেটপাড়ার। বিচারকরাও দারুণ খুশি হৃদিস্রোতার গানে। এই মিষ্টি পারফরম্যান্স দেখে বিচারক শান্তনু মৈত্র বলেন, ‘ওই এতো মিষ্টি করে গাস…অসাধারণ’। মহাগুরু পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী আর্শীবাদে ভরিয়ে দেন, ‘লক্ষ্মী সোনা মা’ হৃদিস্রোতাকে। ইমন চক্রবর্তী, শ্রীকান্ত আচার্যরা হৃদিস্রোতার সঙ্গে এই গানের কোরাসে গলা মেলান।
উল্লেখ্য, এই বছর সারেগামাপা-র মঞ্চে ছোটরা অংশ নিচ্ছে ঠিকই, কিন্তু প্রতিযোগিতার মূলপর্বে তাঁরা নেই। কেবলমাত্র মঞ্চে গান গাইবে তাঁরা। ছোটদের প্রতিযোগিতার চাপ থেকে দূরে রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ফেসবুকে লোকগান ‘আমার হাত বান্ধিবি, পা বান্ধিবিমন বান্ধিবি কেমনে?’ গেয়ে ভাইরাল হয়েছিল হৃদিস্রোতা। এই খুদের দরদ ভরা কণ্ঠ সবার মন ছুঁয়ে যায়। বাবা মায়ের কাছ থেকেই গানের প্রতি তার ভালোবাসা। তার গানের গুরু রথজিৎ ভট্টাচার্য এবং তার মা রূপা মুখোপাধ্যায়। ফেসবুকে প্রায় ৯ হাজার মানুষ ফলো করে হৃদিস্রোতাকে। তাঁর নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে হৃদিস্রোতার।