মাথায় হাত তানি-মুনির ভক্তদের! হঠাৎ করেই ইউটিউব থেকে গায়েব এই খুদে শিল্পীদের চ্যানেল। ওদিকে মন খারাপ মধ্যমগ্রামের যমজ দুই বোন তানি-মুনির। অনেক পরিশ্রম করে নিজেদের ইউটিউব চ্যানেলটা গড়ে তুলেছিলেন তাঁরা, রাতারাতি গায়েব সেটি।
এদিন সকালেই ফেসবুক পোস্টে গায়িকা ইমন চক্রবর্তী জানান, ইউটিউব কর্তৃপক্ষ কোনও সদুত্তর ছাড়াই একটি মাত্র ই-মেল পাঠিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে তাঁর চ্যানেল। এই ঘটনায় হতবাক ইমন। কেন এমন সিদ্ধান্ত ইউটিউবের বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। এই নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসেও ক্ষোভ উগরে দেন গায়িকা।
ওদিকে তানি-মুনির অফিসিয়্যাল ফেসবুক পেজেও এদিন জানানো হয়, ‘আমাদের ইউটিউব অ্যাকাউন্টটি হ্যাকড হয়েছে, এবং সেটি ডিলিট করা হয়েছে। চেষ্টা চলছে সেটি ফিরে পাওয়ার, আপনাদের সবার শুভকামনা প্রয়োজন।’ অন্য ইউটিউবারদেরও সচেতন করেন তানি-মুনির বাবা-মা।
পরবর্তীতে অপর এক পোস্টে তানি-মুনির বাবা লেখেন, হয়ত ইউটিউব নিজস্ব পলিসিতে কোনওরকম পরিবর্তন এনেছে। সেই কারণেই কভার গান আপলোড করে যাঁরা, তাঁদের চ্যানেল মুছে দেওয়া হচ্ছে'।
চ্যানেল ডিলিট হওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই ইউটিউব কর্তৃপক্ষকে ই-মেল করা হয়েছে, তবে এখনও কোনওরকম সদুত্তোর মেলেনি। নেটদুনিয়ার সুবাদেই তানি-মুনির যাবতীয় খ্যাতি। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল দুই বোন, সৃষ্টি দত্ত ও শ্রেয়া দত্ত সদ্য সমাপ্ত সারেগামাপা বাংলা-তেও অংশ নেয়। তাঁদের প্রতিটি পারফরম্যান্সই নজর কেড়েছে দর্শকদের। ফেসবুকে এক লক্ষাধিক মানুষ ফলো করেন এই দুই খুদেকে।
বাবা দেবাশিস দত্তের কাছেই সঙ্গীতের অ-আ-ক-খ শিখেছে তানি-মুনি। তাঁদের বয়স সবে ৮, কিন্তু এই দুই ভাইরাল সেনসেশনের গান শোনেনি এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু হঠাৎ করে কেন একের পর এক শিল্পীর ইউটিউব চ্যানেলে কোপ পড়ছে? এই নিয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি।
এদিন ইমন ফেসবুক লাইভে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘বাংলা গান কেউ শুনতে চাইছেন না। তবু তো চ্যানেলের মাধ্যমে কিছু মানুষকে গান শোনাতে পারছিলাম। সেই উপায়ও বন্ধ। আপনারা এবার বিবেচনা করুন।’