মিনাহিল মালিক ও তাঁর প্রেমিকের ব্যক্তিগত ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হওয়ার পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পাকিস্তানি টিকটক তারকা। বন্ধ ঘরে দম্পতির যৌনতামাখা ক্লিপটি সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে আলোড়ন ফেলেছিল গত মাসের শেষে। যদিও অনেক সমালোচক এই ঘটনাটিকে একটি প্রচারমূলক স্টান্ট হিসাবে অভিহিত করেছেন, ভাইরাল হতেই নাকি পাক সমাজমাধ্য়ম প্রভাবী এই নীচ কাজটি করেছেন বলে অভিযোগ। অনেকে অবশ্য মিনাহিলের প্রতি সমমর্মিতাও দেখান। আরও পড়ুন-জনাইয়ের বিশ্বরূপ থেকে খড়গপুরের শুভজিৎ, আইডলের সেরা ১৫-র তালিকায় ৮ বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী!
এই ঘটনার পর গত ৩০শে অক্টোবর সোশ্যাল মিডিয়াকে বিদায় জানান মিনাইল। কিন্তু সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ফের সার্চ ইঞ্জিন জুড়ে তোলপাড় ফেলেছেন মিনাইল। ভাইরাল হয়েছে তাঁর এক ভিডিয়ো। যদিও এই ভিডিয়োটি নতুন কোনও ভিডিয়ো নয়, গত অগস্ট মাসে একটি নাচের ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন এমএমএস কাণ্ডের জেরে চর্চায় উঠে আসা এই ইনফ্লুয়েন্সার। মেগান থি স্ট্যালিয়নের হিট গানে কোমর দোলাতে দেখা যাচ্ছে মিনাইলকে।
কালো কাঁধ কাটা টপ এবং ওভার সাইজ ব্লেজারে পাওয়া গেল মিনাইলকে। সঙ্গে নীল রঙা ঢলা প্যান্ট। চোখে কালো রোদচশমা লাগিয়ে নেচে চলেছেন তিনি। ভিডিয়োর কমেন্ট বক্স কটাক্ষে ভরে গিয়েছে।
ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে নিজের কঠিন পরিস্থিতির কথা জানিয়ে গত ৩০শে অক্টোবর সোশ্যাল মিডিয়াকে অলবিদা জানিয়েছিলেন মিনাইল। সেখানে তিনি লেখেন, ‘এটা আমার জন্য সহজ ছিল না, কিন্তু আমি শেষ। বিদায় জানানো কঠিন। হিংসা নয়, ভালোবাসা ছড়িয়ে দিন। আমি চলে যাচ্ছি। আমি তোমায় মিস করব। আমি তোমাকে ভালোবাসি। সাবধানে থেকো’।
পোস্টটি দেখুন এখানে:
ঘটনার পর পাকিস্তানি অভিনেত্রী মিশি খান নাম না করেই একহাত নেন মিনাইলকে। খ্যাতির জন্য নোংরা খেলায় মেতে উঠা প্রভাবশালীদের নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মিশি। নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে মিশি ইন্ডাস্ট্রিতে অশ্লীলতার ক্রমবর্ধমান প্রবণতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-‘মাটিতে পুঁতে দেব', মুসলিমদের আঘাত করার অভিযোগ, মিঠুনকে প্রাণনাশের হুমকি পাক ডনের
করিনা কাপুর খানের 'হিরোইন' চলচ্চিত্রের সঙ্গে তুলনা টানেন মিশি। যেখানে করিনা অভিনীত মাহি চরিত্রটি নিজে ছবি হিট করাতে, প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে তাঁর সেক্স ভিডিয়ো ফাঁস করেছিলেন মিডিয়ায়। মিশি বলেন, ‘এই প্রভাবশালীদের খ্যাতির জন্য সর্বনিম্ন স্তরে নেমে যাওয়া এবং তাদের পরিবার, পিতামাতা এবং সমাজকে অসম্মান করা লজ্জাজনক। এদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা উচিত’। এই বিতর্কের জল কতদূর গড়ায় সেটি এখন দেখার।