NEW DELHI : মুম্বইয়ের পর এবার জামনগর জুড়ে সাজো সাজো রব। বিয়ের পর প্রথমবার নিজেদের হোম টাউনে আসছেন ‘রাজকুমার’ ও তাঁর নব-বিবাহিতা সহ-ধর্মিণী। আর তাই আবেগে ভাসল গোটা জামনগর। মুকেশ আম্বানি পুত্র অনন্ত আম্বানিকে ‘রাজকুমার’ বললে বোধহয় অত্যুক্তি হয় না।
বুধবার অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্ট আসবেন, আর তাই ফুল আর গোলাপের পাপড়ি দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল কার্পেট। আরতি করে অনন্ত-রাধিকাকে স্বাগত জানালেন বহু মানুষ। উষ্ণ অভ্যর্থনায় মন ভরল নব-দম্পতির। এদিন অনন্ত আম্বানি লাল ছিমছাম পাঞ্জাবির উপর পরেছিলেন কারুকাজ করা লাল জ্যাকেট ও সাদা চোস্তা পাজামা। সঙ্গে পরেছিলেন কোলাপুরি চটি আর বিশাল ব্রোচ।
আর রাধিকা পরেছিলেন এক্কেবারেই ছিমছাম গোলাপি রঙের একটা সালোয়ার কামিজ।পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে রাধিকা কানে পরছিলেন হীরের দুল, হীরার আংটি, নো-মেকআপ লুকে দেখা যায় তাঁকে। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে পনিটেল করে চুল বেঁধে নিয়েছিলেন তিনি।
এদিন বেশ কয়েকজন গুজরাটি মহিলাকে আরতি করে নতুন বউ রাধিকাকে ঘরে তুলতে দেখা গেল। পাপারাৎজির ক্যামেরায় উঠে এসেছে সেই মুহূর্ত…
পাপারাৎজির সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে উঠে আসা ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, অনন্ত ও রাধিকা যখন জামনগরে পৌঁছলেন, তখন তাঁদের অভ্যর্থনা জানাতে ভিড় করেছিলেন বিশাল জনতা। তখন সেখানে বাজছিল বিভিন্ন ধরেন বাজনা, ঠিক যেমনটা রাজকুমার-রাজকন্যার বিয়ে হলে একসময় বাজানো হত। অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত মানুষজনের মধ্যে একটা দল নব দম্পতিকে আরতি করছিলেন ও তাঁদের উদ্দেশ্যে আশীর্বাদ বর্ষণ করছিলেন। এক নৃত্যশিল্পী দল অনন্ত ও রাধিকার জন্য নৃত্য পরিবেশন করেন, তাঁদের উপর ফুলের পাপড়ি ছোড়া হয়। এদিকে তখন গাড়ি থেকেই জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়ছিলেন নব-দম্পতি।
একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, রাধিকা জনতার উদ্দেশ্যে হাত জোড় করে ছিলেন। মাঝে একসময় অনন্ত হাত নামিয়ে নিলে রাধিকা তাঁকে কনুই দিয়ে ধাক্কা মেরে হাত জোড় করতে ইশারা করেন।
প্রসঙ্গত গুজরাটের জামনগরই হল আম্বানি পরিবারের পারিবারিক ও ব্যবসায়িক শিকড় রয়েছে। এই শহরেই বিয়ের আগে প্রাক-বিবাহ উৎসব উদযাপন করেছিলেন তাঁরা। তিন দিনের সেই উদযাপনে হাজির ছিলেন রিহানা, অরিজিৎ সিং, অজয়-অতুল, দিলজিৎ দোসাঞ্জ এবং মায়াবী ডেভিড ব্লেইনের পারফরম্যান্স সহ অনেক বড় ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন। উপরন্তু, শহরটি অনন্তের জন্য গভীর তাৎপর্য রাখে, কারণ জামনগর তাঁর ঠাকুমা কোকিলাবেন-এর জন্মস্থান।