বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > ‘বেচারি সাজার চেষ্টা,নিজেই দেওয়ালে মাথা ঠুকেছে’, স্ত্রীর অভিযোগ খারিজ করলেন করণ মেহরা

‘বেচারি সাজার চেষ্টা,নিজেই দেওয়ালে মাথা ঠুকেছে’, স্ত্রীর অভিযোগ খারিজ করলেন করণ মেহরা

স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক করণ 

গ্রেফতারির পর অবশেষে জামিনে ছাড়া পেলন অভিনেতা করণ মেহরা। স্ত্রীর বিরুদ্ধেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন। তাঁর দাবি, নিশা ‘বাইপোলার ডিজঅর্ডারের শিকার’। 

গার্হ্যস্থ হিংসার অভিযোগ সোমবার গভীর রাতে মুম্বই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন টেলিভিশনের পর্দার অন্যতম আদর্শ স্বামী ‘নৈতিক’, মানে করণ মেহরা। স্ত্রী নিশা রাওয়াল অভিযোগ আনেন করণ তাঁকে মারধর করেছে, এফআইআর দায়ের করেন গোরেগাঁও থানায়। ‘ইয়ে রিস্ ক্যায়া কহলাতা হ্যায়’ খ্যাত অভিনেতাকে গ্রেফতারির পর আজ আদালতে তোলা হলে জামিনে মুক্তি পান করণ। ৯ বছরের দাম্পত্য সম্পর্ক নিশা-করণের, তার ছয় বছর আগে থেকে শুরু এই জুটির প্রেম কাহিনি। তবে গত কয়েকমাস ধরেই দুজনের দাম্পত্য সম্পর্কে চিড় ধরবার খবর প্রকাশ্যে আসছিল। কিন্তু গোটা ঘটনা যে এমন মোড় নেবে তা ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করেননি অনুরাগীরা। 

জামিনে মুক্ত হয়ে স্ত্রীর আনা অভিযোগ খারিজ করে, নিশার বিরুদ্ধেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন করণ। ঠিক কী হয়েছিল সোমবার রাতে? করণের কথায়, ‘আমাদের বিয়ের সম্পর্কটা খুব আলগা হয়ে গেছে গত কয়েক মাসে, আমরা চেষ্টা করছিলাম বিষয়টা মিটিয়ে নিতে। গত কয়েক দিন আগেই আমরা দুজনে মিলে ঠিক করেছিলাম পরস্পরের সম্মতিতে আমরা বিচ্ছেদ নেব, এবং আমাদের সন্তানের যেন কোনও সমস্যা না হয় সেই বিষয়টা খেয়াল রাখব। গতকাল (৩১ মে) আমরা আর্থিক বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করছিলাম। সেখানেই বেশকিছু ক্ষেত্রে আমাদের মতের অমিল হয়। ও অনেক বেশি খোরপোষ চাইছিল, আমার পক্ষে সেটা দেওয়া সম্ভবপর নয় তা আমি সাফ জানিয়ে দিই। আমি বোঝানোর চেষ্টা করি এখনও অতিমারী চলছে, কাল কী হবে আমি নিজেই জানি না। তবে ছেলের কোনও সমস্যা হোক সেটা আমি চাই না’। করণ জানান এই আলোচনার পরেই নিশা ও তার দাদা রোহিত শেঠিয়া বাড়ির বাইরে যান এবং গভীর রাতে বাড়ি আসেন। 

হিন্দুস্তান টাইমসকে করণ আরও জানান, বাড়ি ফিরে নিশা আচমকাই তাঁর বেডরুমে হাজির হন। গত কয়েক মাস ধরেই নাকি এক ছাদের তলায় থাকলেও এক ঘরে থাকেন না স্বামী-স্ত্রী। নিশা তাঁর ঘরে ঢুকে তাঁকে শাসাতে শুরু করেন, করণের পরিবারকে টেনে অহেতুক গালিগালাজ শুরু করেন। পরিস্থিতি এড়াতে বাথরুমে চলে যেতে চান, সেই সময়ই  দেওয়ালে জোরে নিজের মাথা ঠোকেন নিশা এবং করণকে বলেন, ‘এবার দেখো তোমার কী হয়’ এবং সেখান থেকে বেরিয়ে যান। করণ আরও দাবি করেন, নিশার ঘন ঘন মুড সুইং করে এবং রেগে গেলে জিনিসপত্র ভাঙা কিংবা ছুঁড়ে ফেলে দেন তিনি। রাগ সংবরণের সমস্যা রয়েছে নিশা রাওয়ালের, এমনকি স্ত্রী বাইপোলার ডিজওর্ডারের শিকার এমনটাও বলেন করণ মেহরা। পরিবারের লোকজনও নাকি নিশার এই ব্যবহারের কথা জানেন। স্ত্রীর এই সমস্যাই নাকি তাঁদের সম্পর্কের পথের মূল কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করেন করণ। 

তাঁদের পারিবারিক সমস্যা এইভাবে প্রকাশ্যে চলে আসায় ভীষণরকমভাবে হতাশ করণ। তিনি বলেন, ‘আমাকে অসম্মান করা হয়েছে, আর এবার ও নিজে বেচারি সেজে মেয়ে হবার ফায়দা লুঠতে চাইছে… এটা অবিশ্বাস্য। আমাকে ইন্ডাস্ট্রির মানুষজন চেনে, তাঁরা জানে এই বিয়েটা টিকিয়ে রাখতে আমি কী না করেছি… আমাকে কত কিছুর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। এখন ওর দাবিদাওয়া আমি পূরণ করতে পারছি না বলে আমাকে এমন পরিস্থিতিতে ঠেলে দেবে? যখন বিলাসবহুল জীবন ছিল, তখন তো তুমি সবটাই এনজয় করেছো, আজ আমি সমস্যায় পড়েছি বলে তুমি আলাদা হতে চাইছো… বিচ্ছেদের কথাও আমি মেনে নিয়েছি তাই বলে আমার থেকে সবটা নিয়ে নেবে আর আমি রাস্তায় থাকব সেটা সম্ভবপর নয়। আমি কীভাবে বাঁচব তাহলে?’

করণ বলেন তাঁর বাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে, তবে ঘটনার মুহূর্তের আগেই নিশা ও তাঁর দাদা সমস্ত ক্যামেরা চক্রান্ত করে বন্ধ করে দেন। এবং মাথা ঠোকবার পরের মুহূর্ত মুঠোফোনে ক্যামেরাবন্দি করে পুলিশকে খবর দেন। করণ বলেন, 'পুলিশের সামনে আমি নিশাকে বলেছিলাম, আমাদের ছেলের নামে শপথ করে বলতে আমি ওকে মেরেছি। ও কিন্তু তেমনটা করেনি'। 

 করণ আপতত এক বন্ধুর বাড়িতে রয়েছেন। এই ঘটনা নিয়ে নিশা রাওয়ালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভবপর হয়নি। 

বন্ধ করুন