‘সম্ভবত এটা আমার শেষ পোস্ট। কয়েক দিন বাদে আবার ফিরব। তত দিনের জন্য বিদায় বন্ধুরা। সুস্থ থাকবেন, ভাল থাকবেন।’ ঠিক এরকম একটা পোস্ট করেই নেটমাধ্যম থেকে বিদায় নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন অভিনেতা সৌরভ দাস। লাগাতার তাঁকে নিয়ে নেট-নাগরিকদের কটাক্ষে জেরবার হয়েই এরকম সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছিলেন অভিনেতা। কিন্তু কয়েকটা দিন যে কয়েক'টা ঘণ্টা হতে চলেছে তা বোঝেননি কেউই। সোশ্যাল মিডিয়াকে বিদায় জানানোর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ফের ইনস্টায় ভিডিয়ো পোস্ট করলেন তিনি।
সৌরভের শেয়ার করা ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে তড়িঘড়ি বিছানা ছেড়ে উঠে কাজের জন্য তৈরি হচ্ছেন তিনি। তারপর ফোটোশ্যুটের কিছু বিহাইন্ড দ্য ক্যামেরা মোমেন্ট সেখানে দেখানো হয়েছে। ভিডিয়ো পোস্ট করে ক্যাপশনে সৌরভ লিখেছেন, ‘আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। এটা পোস্ট করতেই হত।’ হ্যাশট্যাগে work calls আর bye শব্দদুটো ব্যবহার করেছেন।
২০২১-র শুরু থেকেই একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন। হঠাৎই এক ভিডিয়ো বদলে দিল সৌরভ দাmsর জীবন। যার জেরে নেট মাধ্যমে চলে জোরদার সমালোচনা। কুরুচিকর নানা মন্তব্যের সম্মুখীন হন এই অভিনেতা। দেখা যাচ্ছিল, বাঁ হাতে জড়িয়ে ধরেছিলেন একটি মেয়েকে (পরে জানা গিয়েছিল সে সৌরভের নিজের বোন)। ভিডিয়োর ওপরে গোল করে দেওয়া হয়েছিল একটা অংশ, তাঁর হাতের অবস্থান বোঝানোর জন্য। দেখা যাচ্ছিল মহিলার বুকের ওপর রয়েছে সৌরভের হাত।
সোশ্যাল মিডিয়াকে আচমকা বিদায় জানানোর কারণ হিসাবে এক সাক্ষাৎকারে সৌরভ জানিয়েছিলেন, ‘আমার ফেসবুক পেজে আমাকে আক্রমণ করা হলে আমার বাবা-মা আমার হয়ে পালটা মন্তব্য করেন। এরপর তাঁদের দিকে নানারকম জঘন্য ইঙ্গিত ধেয়ে আসে'। বাবা-মাকে অনেক বুঝিয়েছেন বলে জানান সৌরভ। কিন্তু ছেলের অপমান মেনে নিতে পারেন না তাঁরা। সৌরভ জানিয়েছেন দিন সাতেক পরে যদি মানসিক অবস্থা বদলায় তাহলে হয়ত ফের ভার্চুয়াল দুনিয়ায় ফিরবেন।