মহাশ্বেতা দেবীর মৃত্যুর পর ‘বাংলা আকাদেমি’র দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন শাঁওলি মিত্র। ২০১৮ সালের শুরুতে পদ থেকে ইস্তফা দিলেও মাস কয়েকের মধ্যেই তিনি ফিরে আসেন, আমৃত্যু এই দায়িত্ব তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন। গত রবিবার নীরবে পরপারে যাত্রা করেছেন শাঁওলি মিত্র, এবার বাংলা আকাদেমির দায়িত্ব গ্রহণ করলেন প্রখ্যাত নাট্যকার তথা রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সচিব শান্তনু বসুর তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের নির্দেশ অনুসারে তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের অন্তর্গত পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির সাধারণ পরিষদে শামিল করা হয়েছে আরও ১৩ জন বিশিষ্টকে। সেই আমন্ত্রিত সদস্যদের তালিকায় রয়েছেন জয় গোস্বামী, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, সুবোধ সরকার, প্রচেত গুপ্ত, অভীক মজুমদার, প্রসূন ভৌমিক, শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়, আবুল বাশার, সুধাংশু দে,ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় এবং শাঁওলি মিত্রের মানস কন্যা অর্পিতা ঘোষ।
সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে এই কমিটিতে থাকবেন উচ্চশিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব (প্রচেত গুপ্ত), অর্থ দফতরের প্রধান সচিব (অর্পিতা ঘোষ), তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সচিব (অভীক মজুমদার) ও পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির সচিব (প্রসূন ভৌমিক)।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশ ও প্রসারের লক্ষ্যে ফ্রান্সের অ্যাকাডেমি ফ্রঁসেজ-এর আদলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের আওতায় পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৪ সালে এটি একটি স্বশাসিত সংস্থার মর্যাদা পায়।