কঙ্গনা রানাওয়াতের বলিউড কেরিয়ার ঘেঁটে আছে গত কয়েকবছর ধরেই। একটা সময় হিট মেশিন হিসেবে ধরা হত কঙ্গনাকে। পাঙ্গা, থালাইভি, ধকড়, তেজস বক্স অফিসে সুপার ফ্লপ। মাসখানেক আগেই কঙ্গনা জানিয়েছিলেন, নিজের সর্বস্ব বাজি রেখে বানিয়েছেন এমারজেন্সি সিনেমা।
তবে খবর বলছে, অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতির ময়দানে পা রাখতে চলেছেন অভিনেত্রী। নিজেই অবশ্য সে ব্যাপারে দিয়ে গিয়েছেন হিন্ট। বলেছেন, যদি ভগবান কৃষ্ণ তাকে আশীর্বাদ করেন তবে তিনি আগামী লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
শ্রীকৃষ্ণের বিখ্যাত দ্বারকাধীশ মন্দিরে প্রার্থনা করতে দেখা যায় কঙ্গনা রানাওয়াতকে। সেখানে তাঁকে ঘিরে ধরেন পাপারাৎজিরা। প্রশ্ন আসে, তিনি লোকসভা ভোটে দাঁড়াবেন কি না? যাতে কঙ্গনার উত্তর, ‘শ্রী কৃষ্ণ কি কৃপা রহি তো লড়েঙ্গে। (শ্রী কৃষ্ণের কৃপা থাকলে লড়ব)’
এরপর সনাতন ধর্মের গুণগান শোনা যায় কঙ্গনা রানাওয়াতের মুখে। বলেন, ‘বিজেপি সরকারের প্রচেষ্টায়, আমরা ভারতীয়রা ৬০০ বছরের সংগ্রামের পরে এই দিনটি দেখতে পাচ্ছি। আমরা উদযাপনের সঙ্গে মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করব। সারা বিশ্বে সনাতন ধর্মের পতাকা উত্তোলন করা উচিত।’
সমুদ্রের নীচে নিমোজ্জিত হারিয়ে যাওয়া শহর দ্বারকার অবশিষ্টাংশ দেখার সুবিধা তৈরি করার জন্যও অনুরোধ করেন তিনি বিজেপি সরকারকে। ‘আমি সবসময় বলি যে দ্বারকা একটি ঐশ্বরিক শহর। এখানকার সবকিছুই আশ্চর্যজনক। দ্বারকাধীশ প্রতিটি কোণায় বিরাজমান। তাঁকে দেখলেই আমি ধন্য হয়ে যাই। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যতটা সম্ভব প্রভুর দর্শন পেতে এখানে আসতে। কাজ থেকে যখনই ছুটি পাই, আমি এখানে আসি।’
আরও পড়ুন: শাহরুখের জন্মদিনে এসেছিলেন সলমন! মুখ লোকানো ধোনির পিছনে, সঙ্গে বিশেষ কেউ
‘জলে ডুবে থাকা দ্বারকা শহরটি ওপর থেকেও দেখা যায়। আমি চাই সরকারের এমন একটি সুবিধা যাতে ভ্রমণার্থীরা জলের নীচে গিয়েও দেখতে পারেন। আমার কাছে কৃষ্ণ নগরী স্বর্গের মতো।’, আরও বলেন কঙ্গনা রানাওয়াত।
কঙ্গনার শেষ রিলিজ তেজস ৮ দিনে মাত্র ৫.৬০ কোটির ব্যবসা করেছে। শেষ কিছুদিন হলে দর্শক কম আসার জন্য, শো বাতিল করতেও বাধ্য হন হল মালিকরা। আপাতত তুরুপের তাস এখন ‘এমরাজেন্সি’। যদিও বছর শেষে মুক্তির কথা থাকলেও, পরে তা বদলে দেওয়া হয়।
২০২৩-এর নভেম্বর-ডিসেম্বরে বেশ কয়েকটা বলিউড ছবি মুক্তি পাওয়ার জন্য রয়েছে পাইপলাইে। ফলে এমারজেন্সি পিছিয়ে ২০২৪ করে দেন কঙ্গনা।